ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে জাতীয় শোক দিবস পালন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ১৬ আগস্ট ২০১৯

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বৃহস্পতিবার সারাদেশে পালন করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। এ উপলক্ষে বের করা হয় শোক র‌্যালি, অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচী। এসব কর্মসূচীতে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠনসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়। এ সময় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। চট্টগ্রাম যথাযথ কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। এ উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন, প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে দিনভর ছিল নানা আয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ছিল আলোচনা, শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কনসহ অনুষ্ঠানমালা। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলো থেকে বাজানো হয় বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়, উত্তোলিত হয় শোকের কালো পতাকা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসে কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সকালে এতিম সমাবেশ, খতমে কোরান, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শোকযাত্রা। সকালে এতে নেতৃত্ব দেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নান। উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ডার মোঃ সাহাবউদ্দিন এবং প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে শুরু হওয়া এই শোক র‌্যালি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসে পৃথক কর্মসূচী ছিল। মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা নঈমউদ্দিন চৌধুরী, নোমানআল মাহমুদ, শ্রমিক লীগ নেতা শফর আলী, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, এ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ। চট্টগ্রাম বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফের উদ্যোগেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচী ছিল। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কর্মসূচী পালিত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিল নানা কর্মসূচী। সকালে কালোব্যাজ ধারণ করে চবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের নেতৃত্বে শোকর‌্যালি শুরু হয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় চবি শিক্ষক সমিতি, ডিনবৃন্দ, প্রভোস্টবৃন্দ, সভাপতি ও পরিচালকবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী জাতীয় শোক দিবসে গভীর শোক আর শ্রদ্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেছে রাজশাহীর মানুষ। বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারী, আধা-সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। পুরো নগরীতে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, কোরান তেলাওয়াত ও দেশাত্মবোধক গান। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনসমূহ। সকালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা কুমারপাড়ার দলীয় কার্যালয়ের পাশে স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে সেখান থেকে শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি নগরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বেলা ১১টায় রাজশাহী জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। পরে জেলা পরিষদে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবিবসহ সকল সদস্য, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। খুলনা বৃহস্পতিবার প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান এবং আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সংগঠনের উদ্যোগে কালোব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, শোকর‌্যালি, আলোচনা সভা, কোরানখানি, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে নগরীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে শোকর‌্যালি শুরু হয়ে বাংলাদেশ বেতার খুলনার প্রাঙ্গণে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। র‌্যালিতে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। পরে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজীয়দের মধ্যে পুরস্কার এবং ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। বরিশাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত আর কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল আটটায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাহান আরা বেগম, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুসসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে সকাল নয়টায় সোহেল চত্বরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে শেখ মুজিবুর রহমানের স্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শোক র‌্যালি বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল এবং কাঙালীভোজের আয়োজন করা হয়। সিলেট বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সকাল ১০ থেকে শুরু হয় শোকদিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন কার্যক্রম। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সরকারী বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এর আগে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় শোক র‌্যালি। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এটি শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন সিলেট জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ময়মনসিংহ জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পামাল্য অর্পণ, শোক র‌্যালি, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে ময়মনসিংহে। বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মনিরা বেগম এমপি, ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকারমুল হক টিটু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করেন। রংপুর দিনটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর ডিসির মোড় এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মেয়রের নেতৃত্বে রংপুর সিটি কর্পোরেশন, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার, রংপুরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলালীগ, শ্রমিকলীগ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠন। এর আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শোক র‌্যালি ও কালোব্যাজ ধারণ করে পদযাত্রা করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। শোক দিবস উপলক্ষে দুপুরে রংপুর জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে রংপুর টাউন হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার আবু সুফিয়ান, রংপুরের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহামেদ। নরসিংদী সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় সার্কিট হাউজ থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত শোক র‌্যালি বের হয়। শোক র‌্যালির নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। র‌্যালিতে জেলা প্রশাসন, সদর উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারী বিভিন্ন দফতর ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্কাউট অংশগ্রহণ করে। সাড়ে ৯টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মোতালিব পাঠানসহ সরকারী বিভিন্ন দফতর। ১০টায় জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন প্রথমে রক্ত দিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন এবং বিনামূল্যে মুক্তিযোদ্ধাদের মেডিক্যাল চেক আপ করা হয়। মাগুরা সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে শোক র‌্যালি বের করা হয়। কালেকটরেট প্রাঙ্গণ থেকে র‌্যালি বের হয়ে নোমানী ময়দানে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, ড. বিরেন শিকদার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন, জেলা প্রশাসক মোঃ আলী আকবর, পুলিশ সুপার খান মোঃ রেজোয়ানসহ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সরকারী দফতর, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পঞ্চগড় সকালে পঞ্চগড় সার্কিট হাউজ চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে মোনাজাতের পর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে রেলপথমন্ত্রী এ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন, মজাহারুল হক প্রধান এমপি, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত স¤্রাট, পুলিশ সুপার ইউসুফ আলীসহ সর্বস্তরের মানুষ কালো ব্যাজ ধারণ করে অংশ নেয়। বগুড়া সূর্যোদয়ের সঙ্গে সকল সরকারী ও বেসরকারী ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে শোক মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর জিলা স্কুল মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। সকালে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে শোক মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোক দিবসে সর্বস্তরের মানুষ কালো ব্যাজ ধারণ করে। বরগুনা বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা জজশিপ, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শোক র‌্যালি শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া রচনা প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, দোয়া ও মিলাদসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। ভোলা বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এর পর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের নেতৃত্বে শহরে র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া পৃথকভাবে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারী, বেসরকারী স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস ও পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএমের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ সর্বস্তরের জনগণ। পরে জেলা প্রশাসন চত্বর থেকে একটি শোক র‌্যালি বের হয়ে শহীদ হাসান চত্বর দিয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। গাইবান্ধা বৃহস্পতিবার দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কর্মসূচীর মধ্যে ছিল কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, শোক র‌্যালি, আলোচনাসভা, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, হামদ নাত ও রচনা প্রতিযোগিতা, যুব উন্নয়নের চেক বিতরণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, মেডিক্যাল ক্যাম্প, সকল মসজিদে মিলাদ মাহফিল-মন্দির-গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী। র‌্যালি শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর কবীরের সভাপতিত্বে স্থানীয় পৌর শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল মতিন। বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায় প্রমুখ। ঝিনাইদহ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি শোকর‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেরণা ৭১ এ গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে পুরাতন ডিসি কোর্ট মুক্তমঞ্চে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি, খালেদা খানম এমপি, জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি ইসলামসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। খাগড়াছড়ি বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে খাগড়াছড়ি টাউন হলের সামনে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে টাউন হলের সামনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ আহমার উজ্জামান পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। হবিগঞ্জ জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে বিন¤্র শ্রদ্ধা, অশ্রুসিক্ত অবয়ব, রক্তদান, বিনামূল্যে চোখের অপারেশন, নানা চিকিৎসাসেবা প্রদান, র‌্যালি ও আলোচনাসভাসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস। স্থানীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আলহাজ আবু জাহির, এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, ডিসি মাহমুদুল কবীর মুরাদ, এসপি মোহাম্মদ উল্লার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিন¤্র শ্রদ্ধার মাধ্যমে এই শোক দিবসের প্রথম সূচনা করা হয়। নারায়ণগঞ্জ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিকসহ পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। দিবসটি উপলক্ষে শোকর‌্যালিও বের করা হয়। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে চাষাঢ়ায় লাইফেলস ক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় নগরীর ২নং রেলগেট এলাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদলসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোনারগাঁয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরুর নেতৃত্বে একটি শোকর‌্যালি ও বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নড়াইল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত, র‌্যালি, আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। এসব কর্মসূচীতে সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মর্তুজা, জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান জিন্নাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নেত্রকোনা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, উদীচী, প্রেসক্লাব এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় পাবলিক হলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা। এছাড়া বিকেলে জেলা পরিষদ এবং সন্ধ্যায় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ে পৃথক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির জেলা ইউনিট দিবসটি উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করে। পিরোজপুর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠন, অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর শহরে শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্মীপুর বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুসহ জেলার সর্বস্তরের মানুষ। পরে শোকর‌্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভায় মিলিত হন সবাই। এ ছাড়াও জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কেএম সালাউদ্দিন টিপুর উদ্যোগে দিনব্যাপী কোরানখানি ও দোয়া করা হয়। কুমিল্লা বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর রামঘাট এলাকায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপি, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন প্রমুখ। এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোক র‌্যালি বের করা হয়। পরে নগর উদ্যানের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এদিকে শোক দিবস উপলক্ষে জেলা পুলিশের আয়োজনে নগরীর পুলিশ লাইনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, অধ্যাপক আমীর আলী চৌধুরী, অধ্যাপক শান্তি রঞ্জন ভৌমিক প্রমুখ। যশোর বৃহস্পতিবার যশোর জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। সকালে শহরে শোক র‌্যালির পর বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এছাড়া শহরের মোড়ে মোড়ে বাজানো হয় জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। বিতরণ করা হয় মানবভোজ। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদারের নেতৃত্বে সকালে দলীয় কার্যালয় থেকে শোক র‌্যালি বের করেন নেতাকর্মীরা। এর আগে প্রশাসনের উদ্যোগে যশোর কালেক্টরেট চত্বর থেকে বের করা হয় শোক র‌্যালি। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, যশোর শিক্ষা বোর্ড, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, যশোর পৌরসভা, প্রেসক্লাব যশোর, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, জেলা যুবলীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবমহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বেলা ১১টায় যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভার অয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। চাঁদপুর চাঁদপুরে গভীর শোক ও বিন¤্র শ্রদ্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ী টাউনহলে জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে কালো পতাকা, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচী সূচনা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপুসহ জেলার নেতারা। সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের অঙ্গীকার পাদদেশে কালো ব্যাজ ধারণ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান ও জেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা। টাঙ্গাইল কর্মসূচীর মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, শোক র‌্যালি, আলোচনাসভা, দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ, চিত্রাঙ্কন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মিলাদ ও দোয়া ইত্যাদি। বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যোনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরনসহ মুক্তিযোদ্ধারা ও সর্বস্তরের জনতা। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যোন থেকে শহীদদের স্মরণে শোক র‌্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গিয়ে আলোচনাসভায় মিলিত হয়। জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনাসভায় উল্লেখিত নেতারা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়। কুড়িগ্রাম জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক র‌্যালি, মিলাদ মাহফিল, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে শাপলা চত্বর সংলগ্ন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর আলীর নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, মিলাদ মাহফিল শেষে দুস্থদের মাঝে নগদ অর্থ, শাড়ি-লুঙ্গিসহ খাবার বিতরণ করা হয়। সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের আয়োজনে কলেজ মোড়ের স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে র‌্যালি শহরের প্রধান প্রাধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে টাউন হলে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক এমপি জাফর আলী, পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান, সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম আমিনুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, পৌর মেয়র আব্দুল জলিল, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদ লাল প্রমুখ। কিশোরগঞ্জ সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোক র‌্যালি পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গুরুদয়াল সরকারী কলেজ অডিটরিয়ামে গিয়ে আলোচনাসভা, বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রদর্শন দেয়ালিকা প্রকাশ এবং কবিতা আবৃত্তি ও ছড়া পাঠে মিলিত হয়। এসব কর্মসূচীতে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ আফজল, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, এডিসি (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আসাদ উল্লাহসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। নাটোর বড়াইগ্রামে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে বনপাড়াস্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। পরে শোক র‌্যালি পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে উপজেলা চত্বরে ইউএনও আনোয়ার পারভেজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ও সুরাইয়া আক্তার কলি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। কুষ্টিয়া বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র‌্যালি ছাড়াও নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। এদিন সকালে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক-সামাজিক নেতারা। এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সদর উদ্দিন খানের নেতৃত্বে শহরে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। এতে সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা পরিষদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, জেলা শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওদুদ, জেলার সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসী, জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক, পুলিশ সুপার টি.এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম-পিপিএম, মুক্তিযোদ্ধারা, আলহাজ রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী অফিস প্রধানরা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মুন্সীগঞ্জ বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জে বিশাল শোক র‌্যালিসহ দিনভর নানা আয়োজন করা হয়। র‌্যালিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড স্থান পায়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা, চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা এবং নানা কর্মসূচীতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এসব আয়োজনে অংশ নেন বঙ্গবন্ধুর চিফ সিকিউরিটি অফিসার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, মাহী বি চৌধুরী এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম প্রমুখ। সকালে কালেক্টরেট মাঠ থেকে শোক র‌্যালিটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়। পটুয়াখালী সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান মিয়া, কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন এমপি, জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদ, পটুয়াখালী পৌরসভা, পটুয়াখালী প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চেম্বার অব কমার্স, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শোক যাত্রা বের করা হয়। এটি ফরিদপুর পৌরসভার সামনে দিয়ে ব্রাহ্মসমাজ সড়ক হয়ে রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে জতির জনকের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ। পরে রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা ও শিশুদের নিয়ে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। গাজীপুর কালোব্যাজ ধারণ, শোক র‌্যালি, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা, কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়। সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এছাড়া জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামিল আহমেদ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, প্রেসক্লাব, আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে একটি শোকর‌্যালি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গতাজ মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আলোচনা সভা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দিনব্যাপী কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। ঠাকুরগাঁও শোক র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণসহ দিনব্যাপী নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগসহ সকল সরকারী-বেসরকারি দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে এসে একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ এবং প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে সবাই জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মিলিত হন। বাগেরহাট বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোক র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে শহরে শোক র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্বাধীনতা উদ্যানে আলোচনাসভায় মিলিত হয়। র‌্যালিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এমপি, জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেযারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু প্রমুখ।
×