ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মশা মারার নতুন কার্যকর ওষুধ ছিটানো হবে আজ থেকে ॥ খোকন

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১০ আগস্ট ২০১৯

 মশা মারার নতুন কার্যকর ওষুধ ছিটানো হবে আজ থেকে ॥ খোকন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মশা নিধনের জন্য আনা নতুন অধিক কার্যকরী ওষুধ শনিবার থেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রতিটি ওয়ার্ডে ছিটানো হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র সাঈদ খোকন। একইসঙ্গে কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলেও জানান তিনি। শুক্রবার পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধোলাইখাল মাঠ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, মশা নিধনের জন্য বিদেশ থেকে আনা নতুন ওষুধ শনিবার থেকে ছিটানো হবে। ডিএসসিসি এলাকায় অবস্থিত আবাসিক ভবন ও ফ্ল্যাটের ভেতর সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা মশা নিধনের কার্যক্রম চালাবেন। মশা নিধনের জন্য দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি অঞ্চল তদারকি করতে একজন করে সরকারী প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এডিস মশার লার্ভা নিধনে নাগরিকদের নিজ নিজ বাড়ি ঘর আঙ্গিনা ও এর আশপাশের কোথাও যেন তিনদিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মেয়র। সাঈদ খোকন বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি কোরবানির বর্জ্য, পানি, রক্ত ইত্যাদি অপসারণ না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কারও এলাকায় যদি বর্জ্য থেকে যায় তাহলে সিটি কর্পোরেশনের হটলাইন নম্বর- ০৯৬১১০০০৯৯৯ এ ফোন করার আহ্বান জানান তিনি। হটলাইনে অপারেটররা আপনার বাসা-বাড়ি কিংবা এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঠিয়ে দেবেন। এছাড়া বর্জ্য অপসারণের সার্বিক কাজ ফেসবুকে তদারকি করা হবে। মেয়র বলেন, ঈদের দিন নামাজের পর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়। এই বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। রাজধানীতে ঈদের পরদিন কিছু কোরবানি হয় ও তৃতীয় দিনও কিছু পশু কোরবানি হয়। দ্বিতীয় দিনে যে কোরবানি হবে তার বর্জ্য ওইদিন রাতে অপসারণ করা হবে এবং তৃতীয় দিনের বর্জ্য ওইদিনই অপসারণ করা হবে। গতবছরও আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সফল হয়েছিলাম। তিনি বলেন, নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি কোন কারণে সম্ভব না হলে যেখানেই কোরবানি করবেন সেখানে পানি কিংবা রক্ত জমতে দেবেন না। পশুর রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে সেখানে ব্লিচিং পাউডার দিতে হবে। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সবাইকে বড় ব্যাগ দেয়া হবে। সেই ব্যাগে বর্জ্য ঢুকিয়ে নির্ধারিত স্থানে রাখবেন। আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করবেন। নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৫টি পশু কোরবানির নির্ধারিত স্থান হিসেবে ডিএসসিসি এলাকায় ৩৩৯টি কোরবানির নির্ধারিত স্থান রয়েছে। সেখানে প্যান্ডেল, পানি, ইমামসহ যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হবে। নগরবাসী যদি ওইসব নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করেন তাহলে সিটি কর্পোরেশনের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হবে।
×