ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন ॥ ১৫ ঘর মেঘনায়

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ৫ আগস্ট ২০১৯

 চাঁদপুর শহররক্ষা  বাঁধে ভাঙ্গন ॥ ১৫ ঘর  মেঘনায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ৪ আগস্ট ॥ মেঘনা নদীর শহর রক্ষাবাঁধের ২শ’ মিটার ব্লক ধসে পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকার সেমি পাকা ও টিনের ১৫টি ঘর ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে হরিসভা এলাকার ৪টি মন্দির ও চলাচলের সড়ক। হুমকির মুখে থাকা বহু বসতঘর ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ওই এলাকার বিদ্যুত ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাঙ্গন শুরু হয়। রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘটনাস্থলে বালি ভর্তি ৫শ’ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করে। ভাঙ্গনের শিকার পরিবহারগুলো হচ্ছে-হরিসভা এলাকার গুপিনাথ সাহা, আদিনাথ সাহা, সম্ভুনাথ দে, সুশান্ত দে, মানিক সাহা, সঞ্জয় চক্রবর্তী, বিমল দে, দ্বীপক দে, ধ্রুবরাজ সাহা, সুনীল দে, শ্যামল দে, ওয়াদে আলী শেখ, অঞ্জু শেখ, আমজাদ আলী মুন্সি ও কার্তিক সাহা। চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় জানান, ভাঙ্গন শুরু হওয়ার পরেই আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি। গত বছরও একই স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি রক্ষায় স্পেশাল বরাদ্দ দেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজটি সম্পন্ন না করায় আবারও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে আরও বসতিসহ হরিসভা, কালি, স্কন ও লোকনাথ মন্দির মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ৫শ’ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ, দমকল বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, গত কয়েক বছর একই স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে। আমরা তাৎক্ষণিক জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে ব্লক পেলে স্থায়ী বাঁধ দেয়া হবে।
×