ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৪০ ইয়াবা কারবারি ও মানব পাচারকারী নিহত

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ৩ আগস্ট ২০১৯

 বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত  ১৪০ ইয়াবা কারবারি ও মানব পাচারকারী নিহত

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ দেশে ইয়াবা চোরাচালান হয়ে আসার গেটওয়ে মূলত টেকনাফ। মিয়ানমারে উৎপাদিত মরণনেশার মাদক এই ইয়াবা দুদেশের সীমান্তরেখা নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়ে আসে। বাংলাদেশ সরকার পক্ষে ইয়াবার বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণার পর এ পর্যন্ত ১৪০ ইয়াবা কারবারি ও মানব পাচারকারী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩৩ জনই ইয়াবা কারবারি, যাদের মধ্যে পাঁচজন শীর্ষ গডফাদার। অবশিষ্ট সাতজন মানব পাচারকারী। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ, উখিয়া, রামু ও সদর এলাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী গডফাদারের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০। এরমধ্যে বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পাঁচ গডফাদার প্রাণ হারানোর ঘটনার পর ৩৫ জন রয়েছে আত্মগোপনে। জেলহাজতে আছে ২০ জন। যে শীর্ষ পাঁচ গডফাদার প্রাণ হারিয়েছে তারা হচ্ছেন- নুর মোহাম্মদ, সাইফুল করিম, আখতার কামাল মেম্বার, জিয়াউর রহমান ও মোঃ আলম। বর্তমানে গ্রেফতার হয়ে এবং আত্মসমর্পণের জন্য ধরা দিয়ে জেলে থাকাদের মধ্যে রয়েছে বাবুল মেম্বার, আবদুস শুক্কুর, নুরুল আমিন, শাহেদ কামাল, নুরুল হক ভুট্টু, মোঃ সফিক, এনাম মেম্বার, জামাল মেম্বার, সৈয়দ হোসেন মেম্বার, রেজাউল করিম ওরফে রেজু মেম্বারসহ ২০ জন। আর গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে টেকনাফের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রফিক উদ্দিন, তার সহোদর বাহার উদ্দিন, ইউপি চেযারম্যান মাওলানা আজিজ উদ্দিনসহ ৩৫ জন। ২০১৮ সালের ৪ মে মাদকনিয়ন্ত্রণে র‌্যাবের যুদ্ধ ঘোষণার পর মূলত কক্সবাজার অঞ্চলই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যতম টার্গেট হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, মরণনেশা ইয়াবা ট্যাবলেট চোরাচালান হয়ে আসার মূল রুটই হচ্ছে টেকনাফ।
×