ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ দিনে উপচেপড়া ভিড়

চট্টগ্রাম বইমেলায় ১১ কোটি টাকার বই বিক্রি

প্রকাশিত: ১২:০৩, ১ মার্চ ২০১৯

চট্টগ্রাম বইমেলায় ১১ কোটি টাকার বই বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে শেষ হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। প্রথমবারের মতো সমন্বিতভাবে বড় পরিসরে বইমেলার আয়োজন করায় আগাগোড়াই ছিল উৎসব আমেজ। প্রতিদিনই সমাগম ঘটে বিপুলসংখ্যক বইপ্রেমীর। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও শেষদিন ছিল উপচেপড়া ভিড়। বিক্রিও ছিল বেশ ভাল। এবারের বইমেলায় বিক্রি হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকার বই। আয়োজনে সন্তুষ্ট মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশক ও দর্শনার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি চট্টগ্রামে বইমেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। চট্টগ্রাম নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত বইমেলায় অংশগ্রহণ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ১১০টি স্টল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি এই মেলা শুরু হয়। প্রতিদিনই ছিল উপচেপড়া ভিড়। যৌথভাবে একটি বইমেলা হওয়ায় তা বর্ণিল এবং জমজমাট রূপ ধারণ করে। বইপ্রেমীদের স্রোতই প্রমাণিত হয় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি মেলার প্রত্যাশায় ছিলেন। চট্টগ্রাম বইমেলায় অংশগ্রহণ করে ইউপিএল, আগামী, প্রথমা, রোদেলা, শৈলী, আবীর প্রকাশন, বলাকা, নালন্দা, অক্ষরবৃত্ত, পূর্বা, কারেন্ট বুক সেন্টার এবং চট্টগ্রাম ও ঢাকার সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক ও বিপণি প্রতিষ্ঠানগুলো। সকলেই এবারের বইমেলা নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বইমেলায় বিক্রিও বেশ ভাল। আয়োজন নিয়ে কোন ধরনের ত্রুটির অভিযোগ নেই। চট্টগ্রাম একুশে বইমেলা আয়োজক কমিটির যুগ্ম সচিব ও বলাকা প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, একটি বইমেলা যেমন হওয়া উচিত ঠিক তেমনই হয়েছে। এবার প্রকাশক, বিক্রেতা ও বইপ্রেমীদের মধ্যে কোন ধরনের অতৃপ্তি নেই। এবারের বইমেলায় প্রায় ১১ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। তবে মেলার শেষের কয়েকটি দিন বিঘ্নিত হয়েছে বৈরী আবহাওয়ার কারণে। বিষয়টি বিবেচনা করে অন্তত দুটি দিন সময় বাড়িয়ে দিলে আরও ভাল হতো। ইউপিএলের কর্মকর্তা রাহুল জানান, চট্টগ্রামে এমন একটা মেলা সকলেরই প্রত্যাশা ছিল। প্রথমবারের এ যৌথ মেলায় যেমন সমাগম ঘটেছে তা ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামীতে চট্টগ্রামের মেলাও ঢাকার মেলার রূপ ধারণ করবে। কেননা, চট্টগ্রামও ৭০ লাখ মানুষের নগরী।
×