ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালের ১৬ কিলোমিটার সড়ক বেহাল

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ১ মার্চ ২০১৯

বরিশালের ১৬ কিলোমিটার সড়ক বেহাল

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার গৌরনদী উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক বাসস্ট্যান্ড থেকে বন্দর হয়ে সরিকল পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ জিসি ১৬ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বিভিন্ন গাড়িচালক ও যাত্রীরা, ঘটছে ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। এ সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরা জানান, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড থেকে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, থানার সম্মুখ দিয়ে বন্দর হয়ে পিঙ্গলাকাঠী, নলচিড়া, হোসনাবাদ, সরিকলসহ পাশর্^বর্তী কালকিনি উপজেলার রমজানপুর এবং মুলাদী উপজেলার একাংশের প্রায় তিন লক্ষাধিক বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি গত সাত বছর পূর্বে সংস্কার করা হয়েছিলো। এরপর দীর্ঘ বছর অতিবাহিত হলেও সড়কটি মেরামত করা হয়নি। বর্তমানে সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গত দুদিনের বৃষ্টিতে ওইসব গর্তে পানি জমে যানবাহনতো দূরের কথা জনসাধারণের পায়ে হেটে চলাচলও সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পরেছে। এমনকি সড়কের ঐতিহ্যবাহী গৌরনদী বন্দরের মধ্যে সুবিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরেছে। সূত্রমতে, গৌরনদীর অভ্যন্তরীন প্রায় সব কাঁচা সড়কগুলো কার্পেটিং করা হলেও রহস্যজনক কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ফলে গৌরনদী উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী কয়েক হাজার যাত্রী এবং রোগীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বর্তমানে সড়কটি এমন বেহাল দশা হয়েছে যে মোটরসাইকেল নিয়েও সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছেনা। ফলে ভুক্তভোগীরা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র কাছে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দ্রুত সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অহিদুর রহমান জানান, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটি সংস্কারের জন্য কয়েক মাস পূর্বে প্রাক্কলন প্রস্তুত করে বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী সড়কটি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যশোর স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, খুলনা-যশোর মহাসড়কে যাত্রী ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। সহসা কমছে না এ দুর্ভোগ। প্রকল্পের মেয়াদ থাকায় কাজ চলছে ঢিমেতালে। সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং ওঠানো, ধুলাবালি, পাথর আর খানাখন্দের সঙ্গে নিত্য চলাচল এ অঞ্চলের মানুষের। সঙ্গে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে কাদামাটির রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কোথাও কাদামাটিতে গাড়ি আটকে থাকছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। আর প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, যশোর-খুলনা মহাসড়কের পূর্ণ নির্মাণ কাজ চলছে। দুটি প্যাকেজে ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ মহাসড়কের কাজ হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। ব্যস্ততম মহাসড়কটির বর্তমান প্রস্থ ২৪ ফিট। এটি এখন দুই লেনে উন্নীত হয়ে ৩৪ ফিট হবে। সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফিট গর্ত করে তা প্রথমে বালি ও পরে বালি-খোয়ার মিশ্রণ ও সবশেষ ১২০ মিলিমিটার বা প্রায় ৫ ইঞ্চি পুরুত্বের বিটুমিনাস সারফেসে তা ভরাট হয়ে তৈরি হবে মহাসড়ক। পালবাড়ি থেকে যশোরের শেষপ্রান্ত নওয়াপাড়ার রাজঘাট ৩৮ কিলোমিটারের মহাসড়কের উন্নয়নের কাজ শেষ হওয়ার সময় ২০২০ সালের মে মাসে। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে জনভোগান্তি। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি সংশ্লিষ্টদের। চালকরা জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে সড়ক নির্মাণের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির কথা স্বীকার করে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ সফিকুন নবী জানান, ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়কের সংস্কার কাজ চলছে দুটি ভাগে। ইতোমধ্যে ৪৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে। তিনি বলেন, দ্রুত চলাচল উপযোগী করে দেয়ার জন্য ঠিকাদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×