ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন আরও পাঁচ শতাধিক কারবারির তালিকা তৈরি;###;আবার সুযোগ পেলে আরও অনেকে আত্মসমর্পণে প্রস্তুত

ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে ‘অলআউট’ এ্যাকশন

প্রকাশিত: ১১:১০, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে ‘অলআউট’ এ্যাকশন

মোয়াজ্জেমুল হক/ এইচএম এরশাদ ॥ মিয়ানমারে উৎপাদিত মরণনেশা মাদক ইয়াবা চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ‘অল আউট’ এ্যাকশন শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে। চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন। এদিকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ১০২ ইয়াবা কারবারির আত্মসমর্পণের পর তাদের দেয়া তথ্য মতে নতুন করে ৫ শতাধিক ইয়াবা কারবারির তালিকা তৈরি হয়েছে। নতুন তালিকায় কিছু প্রভাবশালীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। এছাড়া ইয়াবা পাচারের বিপরীতে হু-ির মাধ্যমে অর্থ লেনদেনে জড়িত ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আত্মসমর্পণকারী ১০২ ইয়াবা কারবারির মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ২৭ জনের জামিন নামঞ্জুর হয়েছে আদালতে। সর্বশেষ মঙ্গলবার জামিন নামঞ্জুর হয়েছে ৩ জনের। এ পর্যন্ত জামিন আবেদনের ঘটনা হয়েছে ৫ দফায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী ১১৫১ ইয়াবা চোরাকারবারির তালিকা তৈরি হয়। তন্মধ্যে ১০২ জন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণের পর এদের সকলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ ঘটনা নিয়ে পুলিশী তদন্তে আত্মসমর্পণকারীদের দেয়া তথ্য মতে, নতুন করে পাঁচ শতাধিক ইয়াবা চোরাকারবারির নাম চিহ্নিত হয়েছে। ফাঁস হয়েছে ৩০ হু-ি ব্যবসায়ীর নাম। যারা ইয়াবা চোরাকারবারের বিপরীতে প্রথমে দুবাই ও পরে সিঙ্গাপুর হয়ে মিয়ানমারে হু-ির মাধ্যমে অর্থ পাচারে জড়িত। পুলিশ ধারণা করছে, এ প্রক্রিয়ায় আরও বহু ইয়াবা চোরাকারবারি ও হু-ি ব্যবসায়ীর নাম বেরিয়ে আসবে। এদিকে আত্মসমর্পণকারীদের সম্পদের তথ্য উদঘাটনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুদক, সিআইডির মানি লন্ডারিং বিভাগ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনকিআর)। ১৬ ফেব্রুয়ারি যে ১০২ জন আত্মসমর্পণ করেছে তাদের মধ্যে ৫৭ জনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ পর্যায়ের ইয়াবা কারবারি। এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার পক্ষে দ্বিতীয় দফায় সুযোগ দেয়া হলে আরও বহু ইয়াবা চোরাকারবারি জড়িত ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করবে। বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা হবে বলে জানা গেছে। আরও জানা গেছে, মাদকসহ ইয়াবা চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝতে সক্ষম হয়ে এখন দলে দলে আত্মসমর্পণের আগ্রহ ব্যক্ত করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার পক্ষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় যে আত্মসমর্পণ করেছে এরপরে আর কাউকে এ সুযোগ দেয়া হবে না বলে জানান দেয়া হয়েছে। এদিকে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনের মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৭ জন কক্সবাজার আদালতে জামিনের প্রার্থনা করলেও তা নামঞ্জুর হয়েছে।
×