নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ২৬ জানুয়ারি ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ছুটিতে আসা পুলিশের এক কনস্টেবলসহ দুই বখাটে তাকে পাশর্^বর্তী নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। খোঁজাখুঁজির পর অজ্ঞান অবস্থায় শিক্ষার্থীকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী বখাটেদের ধাওয়া করে। এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষক বখাটেরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায়।
শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়া জানান, শুক্রবার বিকেলে তারাবো হাটিপাড়া এলাকার শিক্ষার্থী তার মায়ের সঙ্গে ওয়াজ শুনতে ও বেড়াতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায় তার নানা ওহাব মিয়ার বাড়িতে আসেন। রাতে বাড়ির সকল লোকজন পাশর্^বর্তী ছাতিয়ান বেপারী পাড়া মসজিদের বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ শুনতে যান। এ সুযোগে একই এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে ও পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল (ছুটিরত) মৃদুল মিয়া (২৩), সোলেয়মানের ছেলে নিজাম মিয়া (২৪), গোলবক্স মিয়ার ছেলে ও ইয়াবা স¤্রাট সিয়াম হোসেন (২২) ওই শিক্ষার্থীকে ঘর থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে বখাটেরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওয়াজ শেষ করে ঘরে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই এলাকাবাসী ওই তিন বখাটেকে আটক করতে ধাওয়া করে। এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে বখাটেরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: