ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৭:৩৭, ২ নভেম্বর ২০১৮

ঝলক

ওজন আয়ুর ওপর প্রভাব ফেলে ওজন বেশি হওয়া কিংবা কম হওয়া মানুষের আয়ুর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, মানুষের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা বেশি হলে সেটা মানুষের আয়ু থেকে চার বছর কেড়ে নিতে পারে। ব্রিটেনের চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণা সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় কুড়ি লাখ মানুষের ওপর এই সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল। গবেষকরা দেখেছেন মানুষের ৪০ বছর বয়স হওয়ার পর থেকে যাদের উচ্চতা, বয়স এবং ওজনের অনুপাত বা বডি ম্যাস ইনডেক্স বিএমআই ভাল থাকে, অসুখে-বিসুখে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনাও কম থাকে। কিন্তু এই বিএমআই যাদের খারাপ হয়, তাদের জীবনের আয়ুুও তুলনামূলকভাবে কম হয়। এই বিএমআই হিসেব করা হয় কোন একজন মানুষের ওজনকে তার উচ্চতার বর্গ দিয়ে। ভাল স্বাস্থ্যের ইঙ্গিত দেয় এরকম মানুষের বিএমআই হচ্ছে ১৮ দশমিক ৫ থেকে ২৫ পর্যন্ত। বেশিরভাগ চিকিৎসকই বলেন, কেউ মোটা কি মোটা নয় সেটা বোঝার জন্যে এটাই সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। তাদের মতে, এটা নির্ভুল এবং সহজেই মাপা যায়। গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একজন মানুষের যতদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বলে আশা করা হয়, অতিরিক্ত ওজনের একজন নারী ও পুরুষের সেই আয়ু সাড়ে তিন থেকে ৪ দশমিক ২ বছর পর্যন্ত কম হয়ে থাকে। অর্থাৎ যাদের বিএমআই ঠিক নেই তাদের আয়ু কম হয়ে থাকে। ক্যান্সার থেকে শুরু করে বেশিরভাগ রোগে মৃত্যুর কারণের সঙ্গে এই বিএমআইয়ের সংযোগ রয়েছে। গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ডক্টর কৃষ্ণান বাশকারান বলেছেন, এর মধ্যে আবার কিছু কিছু ব্যতিক্রমও থাকতে পারে। সিএনএন অবলম্বনে। অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি তিনজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষকে হাঁটানো সম্ভব হয়েছে। এই তিনজনকে বলা হয়েছিল যে, তাদের বাকি জীবনটা হুইলচেয়ারেই কাটিয়ে দিতে হবে। একদল সুইস চিকিৎসকের চেষ্টায় তারা হেঁটে বিশ্বের বাকি পক্ষাঘাতগ্রস্তদের সামনে আশার আলো সঞ্চার করেছে। পক্ষাঘাতগ্রস্ত এই ব্যক্তিদের মেরুদণ্ডে ইলেক্ট্রিক্যাল ডিভাইস যুক্ত করে দেয়া হয়েছে যার মাধ্যমে তাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সঙ্কেত পৌঁছাচ্ছে। এটি এই তিনজেনর মেরুদণ্ডের স্নায়ুবিক যে ক্ষতি হয়েছিল তার পুনর্গঠনে এই ডিভাইস সহায়তা করেছে। গবেষকরা মনে করছেন, এই অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষদের স্বাধীনভাবে চলাফেরার ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে সক্ষম করে তুলবে। সুইচ বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা সম্প্রতি নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যারা হাঁটতে সক্ষম হয়েছেন তারা হলেন, ৩০ বছর বয়সী সুইস নাগরিক ডেভিড এমজে। খেলাধুলা করার সময় দুর্ঘটনায় তার মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত লাগে। চিকিৎসক তাকে বলেছিলেন, ডেভিড কোনদিন হাঁটতে পারবেন না। হাঁটতে পারা অপর দুই পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী হলেন, ৩৫ বছর বয়সী নেদারল্যান্ডসের নাগরিক কার্টেন ওসকান ও ৪৮ বছর বয়সী জার্মান নাগরিক সেবাস্তিয়ান তবলার। কার্টেন ওসকান গাড়ি চালানোর সময় ও সেবাস্তিয়ান তবলার সাইকেল চালানোর সময় দুর্ঘটনায় হাঁটা চলার শক্তি হারান। বিবিসি অবলম্বনে
×