ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মৎস্যচাষ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে দুদক

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

 মৎস্যচাষ প্রকল্পের  অর্থ আত্মসাতের  ঘটনা তদন্তে  দুদক

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ মৎস্য চাষ প্রকল্পে মোটা অঙ্কের সরকারী অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে দুদক। সিরাজগঞ্জে ‘জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি’ ও নিমগাছি সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ শীর্ষক প্রকল্পের ৩৪ কোটি টাকা এবং চলতি বছরের ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পুকুর পুনঃখননের নামে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের শুরুতেই বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। শতভাগ কাজ কোথাও হয়নি এমন স্বীকার করেছেন প্রকল্পের এক কর্মকর্তা। জানা গেছে, ‘জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পের চলতি অর্থবছরে ২৪ হেক্টর আয়তনের ৩০টি পুকুর পুনঃখননের জন্য ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় মৎস্য অধিদফতর। নামমাত্র কাজ করে ৩০ জুনের মধ্যে ৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার কাজ দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেয় ঠিকাদাররা। অপরদিকে ২০১৪ সালে তিন বছর মেয়াদি নিমগাছি সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্পের ২৩৪টি পুকুর খননসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় মৎস্য অধিদফতর। কাজ শেষ হওয়া প্রকল্পগুলো দেখতে গণমাধ্যম কর্মীরা যায় বিভিন্ন উপজেলাতে। সরেজমিনে মেলেনি কাজের তেমন কোন চিহ্ন। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সংবাদ প্রকাশের পর দুটি প্রকল্পের কাজ দেখতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবনা অঞ্চলের উর্ধতন কর্মকর্তারা। তদন্তে একে একে বেরিয়ে আসছে নানা অনিয়মের নমুনা। এদিকে প্রকল্পগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ যাদের সদস্য করা হয়েছে তারা এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ তাদের কার্যক্রম। অথচ পুকুরের ধারে বসবাসকারী মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে তারা জানান। রায়গঞ্জ সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ সমিতির সভাপতি, খায়রুজ্জামান খোকন জানান, সরকার মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্ট মৎস্য বিভাগের অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে লোপাট হয়ে যাচ্ছে এ প্রকল্পের টাকার সিংহভাগ। আর ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের মহতী উদ্যোগ। সিরাজগঞ্জের গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী, এস এম শাহরিয়া জানান, এখন পর্যন্ত ৪টি পুকুরের গভীরতা মাপা হয়েছে। রিপোর্ট দুদকে জমা দেয়া হয়েছে। নিমগাছি সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্পের উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, পুকুর খনন হয়েছে, তবে শতভাগ কাজ কোথাও হয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক আবুবকর সিদ্দিক জানান, প্রথমে নিমগাছি সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্প দেখছি পরে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প দেখা হবে। শুরুতে কিছু অনিয়ম চোখে পড়েছে।
×