ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাস কাউন্টার ভাংচুর চট্টগ্রামে ২০ রুটে পরিবহন ধর্মঘট ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

 বাস কাউন্টার ভাংচুর  চট্টগ্রামে ২০ রুটে  পরিবহন ধর্মঘট ॥  ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ১৪ অক্টোবর ॥ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির আসামি হানিফ পরিবহনের মালিক মোঃ হানিফের বাস কাউন্টার ভাংচুরের জের ধরে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানের ২০টি রুটে অঘোষিত ধর্মঘট চলছে। কোন ঘোষণা ছাড়াই রবিবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিলে দূরপাল্লার যাত্রী ছাড়াও লোকাল যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে বিআরটিসি, মাইক্রোবাস ও চার চাকার লেগুনা চলাচল করছে। নগরীর বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বাস মালিক সমিতির মহাসচিব প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে ‘রাজাকার’ ডাকার অজুহাতে পরিবহন মালিকরা অঘোষিতভাবে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করছে। শনিবার দুপুরে ফাঁসির আসামি হানিফের কাউন্টার শাহ আমানত তৃতীয় সেতু ও গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকার কাউন্টার দুটি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বন্ধ করে দিলে মূলত পরিবহন মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে অঘোষিত ধর্মঘট পালন শুরু করেছে। বাস মালিক সমিতির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বর্তমানে অসুস্থ হয়ে নগরীর একটি ক্লিনিকে রয়েছেন। হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় যাত্রীরা নানাভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে, হঠাৎ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চার চাকার লেগুনা, মাইক্রোবাস দ্বিগুণ হারে ভাড়া আদায় শুরু করেছে। জানা গেছে, গ্রেনেড হামলা মামলার ফাঁসির আসামি হানিফ পরিবহনের দুটি বাস কাউন্টার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবু মোঃ সায়েমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শনিবার দুপুরে বন্ধ করে দিলে বাস মালিকরা ক্ষুব্ধ হন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা বলেন, হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ভাংচুরের সময় বাকলিয়া থানার ওসির সহযোগিতা চেয়েছিল মালিক সমিতির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু তিনি কোন ধরনের সহযোগিতা না করে রাজ্জাকার ডেকে প্রমাণ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। এর পর বাস মালিক সমিতি বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপাতত দক্ষিণ চট্টগ্রামের ২০টি রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ওসির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়া হলে গাড়ি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
×