ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত আদিবাসীদের আরও পিছিয়ে দেবে

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৯ অক্টোবর ২০১৮

কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত আদিবাসীদের আরও পিছিয়ে দেবে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ সরকারী চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর নিয়োগের ক্ষেত্রে আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত আদিবাসীদের আরও পিছিয়ে দেবে বলে দাবি করেছে ‘বাংলাদেশ আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ’। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সরকারী চাকরিতে আদিবাসী কোটা বহালের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। একই দাবিতে বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক উইলিয়াম নকরেক। তিনি বলেন, অন্যান্য কোটা সম্পর্কে বিতর্ক ও ভিন্নমত থাকলেও আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী কোটা রাখার পক্ষে সবার মত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের উর্ধতন নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজে এই অনগ্রসর জন্য কোটা রাখার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সরকার কোটা উঠিয়ে দিলো, যা এই জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে দেবে। আদিবাসীদের জন্য কোটা না রাখলে তা কখনও কল্যাণকর হবে না। তিনি বলেন, প্রান্তিক অঞ্চলে বসবাসের ফলে আদিবাসীদের শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ভিন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির ফলে বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে ভাল ফল করা দুঃসাধ্য। তাদের মধ্যে ঝরে পড়ার হারও বেশি। দেশে এখনও অনেক আদিবাসী সম্প্রদায় আছে যাদের কেউ এখনও সরকারী চাকরিতে আসতে পারেনি। এই অবস্থায় আদিবাসী কোটা বাতিল তাদের প্রতিনিধিত্ব বাতিল করার শামিল। সংবাদ সম্মেলন থেকে মঙ্গলবার সারাদেশে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন, আগামীকাল বুধবার বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ এবং ১৩ অক্টোবর শাহবাগে প্রতিবাদী গান ও সংহতি সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
×