ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে আজ মহাসমাবেশ

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ৬ অক্টোবর ২০১৮

 মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে আজ মহাসমাবেশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ সরকারী চাকরিতে নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে বরাবরের মতো শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে আসছে কোটার দাবিতে আন্দোলনকারীরা। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অধীনে বিভিন্ন সংগঠন এতে অংশ নিতে দেখা যায়। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগে অবস্থান নেয়। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অধীনে ‘মুক্তিযুদ্ধ সন্তান সংসদ কমান্ড, ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবার’ সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় দু শ’ আন্দোলনকারী এতে অংশ নেয়। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম সমাবর্তন উপলক্ষে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী তুলে নেয়ার কথা জানান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি আতিকুল বাবু। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি আসবেন। পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েটদের যাতায়াত সহজ করার লক্ষ্যে রাত ১২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী স্থগিত করা হবে। তবে শনিবার বিকেল ৩টার সমাবেশ শাহবাগেই অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদে কোটা বাতিলের অনুমোদনের পরেই বুধবার রাত ৮টা থেকে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে আসছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড। সেই রাতেই সংবাদ সম্মেলন করে আজ শনিবার বিকেল ৩টায় শাহবাগে মহাসমাবেশের ডাক দেয়। এর আগে অবস্থানকারী সবগুলো সংগঠন মিলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ গঠন করা হয় যার মুখপাত্র হিসেবে নির্বাচিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। তিনি সরকারী চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন। প্রতিবন্ধী কোটার দাবি ॥ মুক্তিযোদ্ধা কোটার দাবিতে শাহবাগে অবস্থানের পাশাপাশি পাঁচ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা বহালের দাবিতে একই স্থানে অবস্থান নিয়েছেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে শাহবাগ হয়ে কাঁটাবন যাওয়ার রাস্তাটি বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ২০-২৫ শিক্ষার্থী অবরোধ করেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটার দাবির পক্ষে আন্দোলনকারীরা শাহবাগে অবস্থান নিলে তারাও শাহবাগ মোড়ে চলে আসেন। বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আলী হোসেন বলেন, আমাদের জন্য এক শতাংশ কোটা রাখার আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য কোটা রাখার কথা বলেছিলেন। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার যে প্রজ্ঞাপন এসেছে, সেখানে আমাদের কোটার বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট বক্তব্য আসেনি। এই প্রজ্ঞাপন আমরা মানি না। আমাদের কোটা বহাল রাখতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
×