ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নবজাতক মৃত্যুহার কমেছে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নবজাতক মৃত্যুহার কমেছে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একযোগে জাতীয় ও সব জেলা পর্যায়ে ‘জাতীয় নবজাতক স্বাস্থ্য কর্মসূচী’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। নবজাতকের মৃত্যুরোধ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় হেলথ পপুলেশন নিউট্রিশন সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় এই কর্মসূচী পরিচালিত হবে। উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির কারণেই নবজাতকের মৃত্যুহার কমেছে। নবজাতকের মৃত্যুহারের দিক থেকে শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশের অবস্থান। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ নবজাতকের মৃত্যুহার প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ১২ অথবা তার নিচে এবং ২০৩৫ সাল নাগাদ প্রতিরোধযোগ্য নবজাতক মৃত্যু অবসানে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক এএইচএম এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডাঃ সুলতান মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রণব কুমার নিয়োগী ও পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ শরীফ প্রমুখ। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারব। এই উন্নতির ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক অবদান রেখেছে। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার আমরা কমিয়েছি। এমনকি রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফল বলে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এক শ’ বছর পর দেশে কি হবে তার পরিকল্পনাও প্রধানমন্ত্রী করেছেন। এবং সে অনুসারে তিনি তার কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করছেন। তবে এই সফলতা বজায় রাখতে বর্তমান সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের জনগণ চিকিৎসক চেয়েছে, এ্যাম্বুলেন্স চেয়েছে। আমরা দিয়েছি। তবে এখনও আমরা সঙ্কটের মধ্যে আছি। আশা করছি স্বাস্থ্য খাতে নবেম্বর মাসের মধ্যে এ সব সঙ্কট দূর হবে। আমরা ১০ হাজার নার্স, ১২০০ মিডওয়াইফ, ৭ হাজার চিকিৎসক দিয়েছি। আরও ১০ হাজার ডাক্তার আমরা খুব দ্রুত নিয়োগ দেব পিএসসির মাধ্যমে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার নবজাতকের জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেমন- মানসমত প্রসব পূর্ব ও প্রসব পরবর্তী পরিচর্যার বিস্তার, জন্মের পরপরই নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো ও ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানোসহ নবজাতকের অত্যাবশ্যকীয় পরিচর্যা, নবজাতকের বিপদচিহ্নসমূহ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও সময়মতো সেবা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা। অপরিণত জন্মের কারণে সৃষ্ট জটিলতা ও মৃত্যুরোধ, জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা ও সংক্রমণ রোধ ও ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার জেলা ও উচ্চপর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে নবজাতকের বিশেষ সেবা ইউনিট (স্ক্যানু) স্থাপন করেছে।
×