ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লামায় পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের বাজার লুট, সেনা সদস্যদের সঙ্গে গুলিবিনিময়

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

লামায় পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের বাজার লুট, সেনা সদস্যদের সঙ্গে গুলিবিনিময়

চট্টগ্রাম অফিস/নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান ॥ পাহাড়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যের কবলে পড়েছে এবার বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার একটি বাজার। সন্ত্রাসীরা লুটে নিয়েছে সতেরো দোকানের মালামাল। পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিবাদী এক ব্যবসায়ীকে। খবর পেয়ে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের সঙ্গে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গত ৮ আগস্টও এ উপজেলার বৈল্লারচর ও ঠাকুরঝিরি এলাকায় বেশক’টি দোকান ও বসতঘরে হামলা ও লুটপাট চলে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, সকালে লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা বাজার ও ছোটবমু এলাকায় পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের হামলা ও লুটপাটের এ অপতৎপরতা চলে। ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত প্রায় ৩০ জনের একটি পাহাড়ী সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রথমে ছোটবমু এলাকায় হামলা চালায়। এ সময় তারা শুক্কুরপাহা ও কোয়াংপাড়ার খইল্যানিয়া, রুহুল কাদের, জামাল উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, হোসেন আহমদ জাকের হোসেন, তাহেরা বেগম, বিদর্শন বড়ুয়া, কামাল উদ্দিন ও মোস্তাক আহমদের দোকানে হানা দিয়ে নগদ অর্থ লুটে নেয়। এরপর মেরাখোলা বাজারের মোঃ কায়েস, নেপাল চন্দ্র সেন ও মিলন পালের দোকান থেকে নগদ অর্থ ও মালামাল লুট করে। হামলার সময় ব্যবসায়ী মিলন পাল চাঁদা প্রদানে অস্বীকার করলে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। সন্ত্রাসীরা তাদের অপকর্ম শেষ করে ফিরে যাওয়ার সময় এলাকার প্রতিটি বসতঘর থেকে ১ হাজার ও দোকান থেকে ৩ হাজার টাকা প্রদানের কথা জানিয়ে একটি চিঠি বিলি করে। চিঠিতে তিনটি মোবাইল ফোন নাম্বার উল্লেখ রয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑ ০১৮৮৫০৮৭৯৮৩, ০১৮৩৬২০২৮০৪ ও ০১৮৮৩৫৫৬৪৮৪। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ধার্যকৃত চাঁদার টাকা না দিলে এলাকাবাসীর বাড়িঘর দোকানপাট জ্বালিয়ে দেয়া হবে বলেও চিঠিতে হুমকি দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার পথে এলাকার নকশাঝিরিতে অস্ত্রের মুখে কয়েকজনকে জিম্মি করে আরও দুটি দোকানের মালামাল ও নগদ অর্থ লুট করেছে। এ ঘটনা চলার পর খবর পেয়ে সেনা সদস্য ও পুলিশ দল ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে গেলে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা মুহুর্মুহু গুলি ছোড়ে। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা এর পাল্টা জাবাব দেয়।
×