ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুচির উচিত পদত্যাগ করা ॥ জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৩১ আগস্ট ২০১৮

সুচির উচিত পদত্যাগ করা ॥ জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নৃৃশংস দমন অভিযানের পরও মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচির নীরব রয়েছেন। যখন এ নিয়ে জাতিসংঘ তদন্ত প্রতিবেদন দেয় তখন তিনি তার বিরোধিতা করেন। এসব কারণ তার পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের বিদায়ী মানবাধিকার হাই-কমিশনার জাইদ রা’দ আল হুসেইন। তিনি বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাবেক এই নেত্রী যেভাবে নিপীড়ন ও গণহত্যাকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন তা ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক’। বিবিসি। সম্ভাব্য গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার সুপারিশ করে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিবিসির কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন। ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমার বলেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তাদের শূন্য সহনশীলতা রয়েছে। পদ্ধতিগত ‘জাতিগত নিধন’ অভিযানের জন্য অভিযুক্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আগেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে। সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদনে, সেনাবাহিনীর নৃশংসতা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য দীর্ঘ দিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী সুচিকে দায়ী করা হয়। জাইদ বলেন, ‘তিনি যে অবস্থানে আছেন, সেখান থেকে কিছু করতে পারতেন। তিনি চুপ করে থাকতে পারতেন- অথবা আরও ভাল হতো, তিনি যদি পদত্যাগ করতেন। বর্মী সেনার মুখপাত্র হওয়ার তার কোন দরকার ছিল না। তিনি বলতে পারতেন, দেখ আমি, দেশের ন্যূনতম নেতা হওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি, কিন্তু এসব অবস্থা সহ্য করে নয়।’ রোহিঙ্গা নিপীড়ন থেকে মিয়ানমার সেনাদের নিবৃত্ত করতে কোন চেষ্টা না করায় সমালোচিত সুচির নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেয়ার দাবি উঠলেও ১৯৯১ সালে দেয়া ওই পুরস্কার কেড়ে নেয়া হবে না বলে বুধবার নোবেল কমিটি জানিয়েছে।
×