ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইইউর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান

ইউরোপীয় কোম্পানিকে ছাড় দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১৭ জুলাই ২০১৮

  ইউরোপীয় কোম্পানিকে  ছাড় দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ইউরোপীয় কোম্পানিকে ছাড় দেয়ার জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) উচ্চ পর্যায়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসির। ইউরোপের দেশগুলোকে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। কেননা এটি ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে চায়। এতে আরও বলা হয়, কোন ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা যদি উপকৃত হয় তাহলেই কেবল ছাড় দেয়া হবে। ইইউর আশঙ্কা যে, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। এনবিসি নিউজ অনুযায়ী, আমরা ইরানের শাসনের ওপর ক্রমাগত আর্থিক চাপ প্রদানের চেষ্টা করব। যে চিঠিটিতে বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিনেরও স্বাক্ষর রয়েছে। এতে আরও যোগ করেছে যে, নির্দিষ্ট কোন পরিস্থিতি ব্যতীত যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে সরে যাবে না। কঠোর নিষেধাজ্ঞা নীতির ব্যতিক্রম করা হবে না। ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে পাঁচ বিশ্ব শক্তিধর দেশ আন্তর্জাতিক চুক্তি করে। এ বছরের মে মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে সরে আসেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করেন। এরপর ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় বোঝানো হয়েছিল যে, চুক্তির আগেই এর দুর্ভেদ্য স্থানগুলো পুনঃস্থাপিত হয়েছিল। চুক্তির অপর পক্ষগুলো মার্কিন অবস্থানের বিরোধিতা করেছে। ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন ইতোমধ্যে জানিয়েছে তারা মতভেদগুলো দূর করতে বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি তারা চুক্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনরায় ব্যক্ত করেছে। তিন বছর আগে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর ইউরোপের কয়েকটি বড় কোম্পানি দেশটির সঙ্গে ব্যবসা করতে অগ্রসর হয়। ২০১৭ সালে ইইউ ইরানে রফতানি করেছে (পণ্য ও পরিষেবা) এক হাজার ৮০ কোটি ইউরো (নয় শ’ ৫০ কোটি পাউন্ড, এক হাজার দুই শ’ ৯০ কোটি মার্কিন ডলার)। ইরান থেকে ইইউ আমদানি করেছে এক হাজার ১০ কোটি ইউরো। আমদানি করা পণ্যের মূল্য প্রায় ২০১৬ সালের দ্বিগুণ ছিল। এখন ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন যে, তারা যদি ইরানের সঙ্গে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যায় তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে এই বছরের শুরুতে ইইউ আইন প্রণয়ন শুরু করে দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, তাদের কোম্পানিগুলোকে তারা ইরানের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে। তথাকথিত নিষেধাজ্ঞার ভাবমূর্তি ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র কিউবার ওপর জারি করার জন্য চালু করেছিল। যদিও এটি কখনই ব্যবহার করা হয়নি। প্রথম নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পর পরিমাপের একটি আপডেট সংস্করণ ছয় আগস্টের আগে প্রভাব ফেলবে।
×