ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পণ্য মোড়কে পাট ব্যবহার করছে না কোন প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ১২ জুলাই ২০১৮

পণ্য মোড়কে পাট ব্যবহার করছে না কোন প্রতিষ্ঠান

তপন বিশ্বাস ॥ পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহারের আইন মানছে না সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ। আইন প্রয়োগেও নেই দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ। সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা, আইনের প্রতি উদাসীনতা এবং জবাবদিহিতার অভাবে জনবান্ধব এ বিধানটি কার্যকর করা যাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার অভিমত। এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য আইন প্রয়োগের জন্য পাট অধিদফতর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলনা করবে। তবে পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করার অপরাধে কাউকে শাস্তি দেয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ে নেই। ২০১০ সালের পাটের মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি নির্ধারিত পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করে কৃত্রিম মোড়কে পণ্য সামগ্রী বাজারজাত, বিক্রয়, বিতরণ ও সরবরাহ করলে কিংবা অনুমতি দিলে তার এক বছর কারাদ- অথবা পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দ-ে দ-িত হবে। এ যেন কাজির গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নাই তেমন অবস্থা। বাস্তবে এ আইনে কোন প্রয়োগ নেই। বাজারে প্রতিটি পণ্য পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির পলিথিনের মোড়কে। বাজার সিন্থেটিক পলিথিনে সয়লাব। মঝে মধ্যে পরিবেশ ও পাট অধিদফরের কিছু লোক বাজারে গিয়ে দোকানিদের কাছ থেকে বখরা নিয়ে পলিথিন বিক্রি জায়েজ করে দিচ্ছে। সরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খাদ্য অধিদফতর ছাড়া অন্য কোন প্রতিষ্ঠান পাটের বস্তা ব্যবহারই করছেন। এ পাটের বস্তা কেনাকাটাও বিরাট অঙ্কের কমিশন বাণিজ্য রয়েছে খাদ্যসহ বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, রাইস মিল, চাতালমালিক ও চালের দোকানদারদের জন্য শতভাগ পাটের বস্তায় চাল রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সিন্থেটিক বস্তায় পণ্য রাখার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে যে বিধিমালা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়েছিল তা কেউ আমলেই নেননি। দেশে উৎপাদিত ও বিদেশ থেকে আমদানি করা সার পাটের বস্তায় রাখার নির্দেশও কেউ মানছে না।
×