ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন সিনেট প্যানেলের দাবি

নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়া গেছে

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৫ জুলাই ২০১৮

 নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়া গেছে

যুক্তরাষ্ট্রের এক রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেট প্যানেল মঙ্গলবার জানিয়েছে যে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচিত হতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে এসব প্রমাণ পাওয়া যায়। খবর গার্ডিয়ানের। সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটি জানায়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এর উপসংহারে দেখা গেছে যে, ভøাদিমিরি পুতিন ও তার সরকারের লক্ষ্য ছিল হিলারি ক্লিনটনকে অসম্মান করে হটিয়ে দেয়া এবং ট্রাম্পের বিজয় নিশ্চিত করা। এ বিষয়ে বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ইনটেলিজেন্স কমিউনিটি এ্যাসেসমেন্টের (আইসিএ) কমিটির পর্যালোচনা থেকে প্রাথমিক ফলাফলের একটি সারসংক্ষেপে মঙ্গলবার বিষয়টি সামনে আসে। যাতে এটি প্রমাণ করেছে যে, এটি একটি গোপন গোয়েন্দা উপকরণের সমর্থনে করা হয়েছে। উপসংহারের বরাতে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কমিটি খুঁজে পেয়েছে যে আইসিএর জারি করা সামগ্রিক সিদ্ধান্তগুলো ভালভাবে সমর্থিত ছিল এবং এর ট্রেডমার্কটিও শক্তিশালী ছিল। এটি রাশিয়ান সাইবার হামলা। যা ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময় অব্যাহত ছিল। কমিটির মঙ্গলবারের ঘোষণার মাধ্যমে ট্রাম্প আবারও চাপের মুখে পড়লেন। যিনি ক্রমাগতভাবে নিজের দাবিতে অটুট ছিলেন। তিনি বারবার কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলেন। তিনি বলে আসছিলেন যে, তার প্রচারাভিযান ও নির্বাচনী তহবিলে অর্থ সহায়তার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কোন রকম সাহায্য নেননি তিনি। বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিলেন। এক বিশেষ পরামর্শক রবার্ট মুলার রাশিয়া ও ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের সদস্যদের মধ্যে সম্ভাব্য গোপন আঁতাতের বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করছেন। ইতোমধ্যে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) কর্মকর্তাদের কাছে মিথ্যা হলফনামা দেয়ায় ট্রাম্পের তিনজন প্রচারাভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ট্রাম্পের সাবেক প্রচারাভিযানের প্রধান পল ম্যানাফোর্ট আর্থিক অপরাধের অভিযোগে বিচারের জন্য বর্তমানে জেলে রয়েছেন। ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্সির ক্ষতি সাধন করার লক্ষ্যে তদন্তকে একটি পক্ষের উইচ-হান্ট বলে অনুসন্ধান কার্যক্রমকে প্রত্যাখ্যান করার চেষ্টা করেন। তিনি হাউস গোয়েন্দা কমিটির চেয়ারম্যন ক্যালিফোর্নিয়ার ডেভিন নুনেসের নেতৃত্বে ডানপন্থী রিপাবলিকান দলের সমর্থন পাচ্ছেন। মুলারের তদন্ত কমিটির তদন্তকে ট্রাম্প বাধা দেয়ার চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবার সিনেট কমিটি বলেছে যে, তাদের পর্যালোচনাতে এটি ক্রমাগতভাবে বলা হয়েছিল যে গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কোন রকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চাপের অধীনে নেই। জানুয়ারি, ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) ও এফবিআই জানায়, ট্রাম্পের পক্ষে পুতিনের থাকার বিষয়ে তাদের উচ্চ পর্যায়ের আত্মবিশ্বাস রয়েছে। যেখানে এনএসএ জানিয়েছে, তারা মধ্যপন্থা আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। কমিটি জানায়, সংস্থাগুলোর মধ্যে আস্থা ভোটের পার্থক্য ছিল যৌক্তিক, স্বচ্ছ ও খোলাখুলিভাবে বির্তকের অধীন। সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান রিচার্ড বার এক বিবৃতিতে বলেন যে, জানুয়ারি ২০১৭’র গোয়েন্দ প্রতিবেদন উপসংহারের বিতর্কে কোন কারণ দেখায় না। তবে তার ডেমোক্র্যাটিক ভাইস-চেয়ারম্যান মার্ক ওয়ার্নার বলেন, রাশিয়ার প্রচেষ্টার ব্যাপক ও অত্যাবশ্যক উপাদান লক্ষ্যনীয় ছিল। এর লক্ষ্যগুলো ছিল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে জনসাধারণের বিশ্বাসকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারিকে আঘাত করা ও ট্রাম্পকে নির্বাচনে সহায়তা করা।
×