ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইজিবাইক চালককে হত্যার পর লাশ নদীতে নিক্ষেপ

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৩ জুলাই ২০১৮

ইজিবাইক চালককে হত্যার পর লাশ নদীতে নিক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ দুই বন্ধুর হাতে খুন হয়েছে সৈয়দপুরে ইজিবাইক চালক সুমন ইসলাম (২০)। খুনের পর ইজিবাইক চালক সুমনের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা। এরপর ইজিবাইকসহ পালিয়ে যাবার সময় টহল পুলিশের হাতে হত্যাকারী দুই বন্ধু আটক হয়েছে। নিহত সুমন সোনাখুলী গ্রামের সমলারপাড় গ্রামের রবিউল ইসলাম বকুলের ছেলে। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার সকাল হতে সৈয়দপুরের চিকলী নদীতে সুমনের মরদেহ উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ও এলাকাবাসী। অবশেষে বেলা তিনটার দিকে সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয় রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার যমুনেশ্বরী নদীর নাগেরহাট এলাকায়। অভিযোগ মতে বন্ধু সুমনের ইজিবাইক ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে তারই দুই বন্ধু উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী গ্রামের মৃত জয়বর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম (২২) ও কালারবাজার ঠকপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আনারুল হক (২১) শনিবার রাতে উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের কুঠিরঘাট এলাকায় নেশাজাতীয় পানি পান করিয়ে সুমনকে গলা টিপে হত্যার পর তার লাশ চিকলী নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এরপর তারা সুমনের ইজিবাইকটি নিয়ে ঠাকুরগাঁও পথে রওনা দেয়। ঠাকুরগাঁও যাওয়ার পথে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার টহল পুলিশের হাতে তারা আটক হয়। হত্যার শিকার ইজিবাইক চালক সুমনের বাবা রবিউল ইসলাম বকুল জানান, সুমন ইজিবাইক চালিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরই বাড়িতে ফিরে আসত। ওই দিন রাত ৯টার পরও বাড়িতে না আসায় ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাত ১১টার দিকে আবারও ফোন করলে মোবাইল ফোনটি পুনরায় বন্ধ পাওয়া যায়। মধ্যরাতে বীরগঞ্জ থানা থেকে ফোন আসে আমার মোবাইলে। ফোনে জানানো হয়, টহল পুলিশের হাতে ইজিবাইকসহ সুমন ও তার বন্ধু আটক রয়েছে। তবে আটক ওই যুবক সুমন কিনা নিশ্চিত করতে আমার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বুঝতে পারি এটা আমার ছেলে সুমনের কণ্ঠ নয়। আর এটা পুলিশকে জানানোর পর আমাকে পরদিন সকালে থানায় এসে ইজিবাইক ও সুমনকে শনাক্ত করতে বলেন। আমি পরের দিন রবিবার (১ জুলাই) সকালে বীরগঞ্জ থানায় গিয়ে দেখি সুমনের দুই বন্ধুর মধ্যে একজন সুমন সেজে কথা বলছে। সুমনের বাবা এর প্রতিবাদ করলে পুলিশের জেরার মুখে আটককৃত রবিউল ইসলাম ও আনারুল স্বীকার করে জানায় তারা সুমনের ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশে তাকে নেশাজাতীয় পানি পান করায়। এরপর তাকে চিকলী নদীর কুটির ঘাট এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে গলাটিপে হত্যা পর নদীতে সুমনের লাশ ভাসিয়ে দিয়ে সুমনের ইজিবাইক নিয়ে ঠাকুরগাঁও পালিয়ে যাওয়ার সময় বীরগঞ্জ থানার টহল পুলিশের হাতে আটক হয়।
×