ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রেলে প্রযুক্তির ছোঁয়া, ট্রেনেও ফ্রি ওয়াইফাই

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৫ জুন ২০১৮

  রেলে প্রযুক্তির ছোঁয়া,  ট্রেনেও ফ্রি  ওয়াইফাই

সংসদ রিপোর্টার ॥ তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগছে দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকা বাংলাদেশ রেলওয়েতে। এরইমধ্যে ১৩ রেলওয়ে স্টেশনে ওয়াইফাই সেবা চালু করা হয়েছে। শীঘ্রই এ সুবিধার আওতায় আসছে আরও ১২ স্টেশন। সেইসঙ্গে ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনেও সার্বক্ষণিক ওয়াইফাই সেবা চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য রেলপথমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও ইয়াসিন আলী এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে কি পরিমাণ ভূমি রয়েছে এবং চট্টগ্রামের রেলস্টেশন রোডে কল্যাণ ট্রাস্টের অধীন টিনশেড মার্কেটের মাস্টার প্লান অনুযায়ী বহুতল ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের বেদখলকৃত জমির পরিমাণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তাগণ কে কোথায়, কতদিন কর্মরত আছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৩ রেলওয়ে স্টেশনে (ঢাকা, ঢাকা বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর, যশোর ও খুলনা) ওয়াইফাই সেবা চালু করা হয়েছে। আরও ১২টি রেলওয়ে স্টেশনে (লাকসাম, আখাউড়া, চাঁদপুর, জামালপুর, ভৈরব বাজার, ঈশ্বরদী, পার্বতীপুর, সৈয়দপুর, লালমনিরহাট, নরসিংদী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও বনানী স্টেশন) সেবা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনে (সোনার বাংলা, সুবর্ণ পারাবত, সুন্দরবন, একতা ও ধূমকেতু) শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কোচসমূহে ফ্রি ওয়াইফাই সেবা প্রদানের জন্য রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আলোচনা শেষে কমিটি বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় বৃদ্ধির জন্য রেলওয়ের অধীনস্থ ভূসম্পত্তি লিজ প্রদানের ক্ষেত্রে রেট বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে এবং রেলওয়ের বেদখলকৃত জমি উদ্ধারের পর সীমানা প্রাচীর তৈরি করতে সুপারিশ করেছে। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যেসব কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন তাদের কর্মস্থল পরিবর্তন এবং পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারের ৯ বছরে সোয়া ১১ লাখ পদ রাজস্ব খাতে সৃজন- সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ॥ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের গত ৯ বছরে দেশের বেকার সমস্যা নিরসনকল্পে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, অধিদফতর ও সংস্থার বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ৬ লাখ ১১ হাজার ১৮৪টি পদ রাজস্ব খাতে সৃজন হয়েছে। এসব পদসমূহের মধ্যে পুলিশের ৭৯ হাজার ২৪৯টি পদ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রামু ও লেবুখালী ডিভিশনের জন্য ২৬ হাজার ৩৯৬টি পদ রয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের লিখিত জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বেকার সমস্যা কমাতে সরকারের নেয়া নানামুখী উদ্যোগের ফলে বর্তমানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারদলীয় সদস্য মমতাজ বেগমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রশাসনকে গতিশীল ও যুগোপযোগী করতে প্রশাসনে নতুন পদ সৃজন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ২০০৯ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের এ সময় পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ লাখ ১৩ হাজার ১৫৫টি নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৫২ হাজার ৭৯টি পদ সৃজনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ১৯৮৫, সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালাা, ১৯৭৯ এবং জাতীয় শুদ্ধচার কৌশল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এ কার্যক্রম ইতোমধ্যে বিভাগীয় শহর খুলনায় গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সভা, সেমিনার ও পথ সভার মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিবছর ২৬ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে দুর্নীতিবিরোধী সপ্তাহ উপলক্ষে দুর্নীতি বিরোধী চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, কবিতা, গান, ফেস্টুন ও অন্যান্য সচেতনমূলক কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।
×