ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তার পানি নিয়ে কথা বলার অধিকার বিএনপি নেতাদের নেই ॥ হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৭ মে ২০১৮

তিস্তার পানি নিয়ে কথা বলার অধিকার বিএনপি নেতাদের নেই ॥ হাছান মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তিস্তার পানি নিয়ে কথা বলার অধিকার বিএনপি নেতাদের নেই। বিএনপির নেতারা এখন চেঁচামেচি করে বলেন, তিস্তার কী হবে? আর তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দিল্লীতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন। যাদের নেত্রী দিল্লীতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে যায়, সেই দলের নেতাদের তিস্তার পানি নিয়ে কথা বলার অধিকার কিভাবে থাকে? শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘মহাকাশের নিজ কক্ষে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পারেন ভারতের কাছ থেকে ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে। শেখ হাসিনাই ভারতের কাছ থেকে সীমান্তে, সমুদ্রে, ছিটমহলে, গঙ্গা নদীতে পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায় করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন মহাকাশে বাংলাদেশের পতাকা উড্ডীন । অর্থাৎ জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে শেখ হাসিনা তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজয় কেতন উড়িয়েছেন। ঠিক একইভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিস্তার পানি সমস্যার সমাধানও যথাসময়ে হবে। বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী আহমেদ পরস্পরবিরোধী কথা বলেন। রিজভী আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সফর ইতিবাচক। এখন আমরা বুঝে উঠতে পারছি না, তাদের দলের বক্তব্য কোন্টা? চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের ঘটনা নিয়ে বিএনপির প্রশ্ন তোলার প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদ বলেন, এ নিয়ে বিএনপির অনেক মাথা ব্যথা। উনাদের পরিবারের অনেকে তো বিদেশে অকালে মারা গেছেন। যে দলের নেতা মাদকাসক্তির কারণে বিদেশ্মেৃত্যুবরণ করে, যাদের নেতারা টেলিভিশনের সামনে কথা বলার সময় স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে না তারা মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে একটু প্রশ্ন তুলবে, এটাই স্বাভাবিক। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে কে সাদা, কে কালো তা দেখা হচ্ছে না এবং দেখা হবে না। কে কোন্ দলের, কে কোন্ মতের, কে কোন্ পথের তা দেখা হবে না। যারাই এর সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের একটি রাজ্যের রাজধানীতে গেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে রাজধানী থেকে কলকাতায় উড়ে এসেছেন শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করার জন্য। এখানেই বোঝা যায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কত গভীর এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক কত গভীর। খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বিএনপি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর একটি স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির। ভারত আমাদের বন্ধু; এটা তাদের সহ্য হয় না। ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো তাদের পাকিস্তানের শাসকদের মতো স্বভাবজাত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, তাঁতি লীগের কার্যকরি সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্তা ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল বক্তব্য রাখেন।
×