ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্মার্ট কার্ড বিতরণে অর্থ আদায়

ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২১ মে ২০১৮

ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি অফিস  ঘেরাও করে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২০ মে ॥ সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগে রবিবার সকাল থেকে স্থানীয় লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জানা যায়, সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় মোট ভোটার ৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৬ জন। এরমধ্যে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ভোটার ৫৮ হাজার ২৩শ’ ০১ জন। স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় ১৬ জানুয়ারি ও শেষ হবে ২১ জুলাই। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, গত ১২ মে থেকে গড়েয়া ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০ মে শেষ হয়। গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মোঃ জুয়েল ও তাঁর সহযোগী কুমোত চন্দ্র বর্মণ স্মার্ট কার্ড দেয়ার কথা বলে এলাকার ১১শ’ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে স্থানীয় সোনালী ব্যাংকে ৩শ’ ৪৫ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করতে হয়। এরপর ব্যাংক ড্রাফটের রশিদ এবং ভোটার আইডি নম্বর সংশ্লিষ্ট কার্ড বিতরণ কেন্দ্রে জমা দিয়ে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মোঃ জুয়েল ও তার সহযোগী কুমোত চন্দ্র বর্মণ স্থানীয় ১১শ’ সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে এবং ব্যাংক ড্রাফট, হাতের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ না নিয়েই ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কক্ষ থেকেই গোপনে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে গড়েয়া এসসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রখর রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে হাতের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিস দেয়ার পর স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করেছে ভোটাররা। আর যারা তাদের ভোটার কার্ড হারিয়ে ফেলে তারা ব্যাংক ড্রাফট করার পর তাদের স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করেছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে সরকারী নিয়মনীতি অমান্য করে অর্থের বিনিময়ে গোপনে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করে। অভিযোগ রয়েছে, সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার সামশুল আজম, গড়েয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল ইসলাম রেদো শাহ কয়েক দফায় মিটিং করে স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া ও গোপনে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
×