ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাবিতে শিক্ষকদের দুই গ্রুপের ধস্তাধস্তি

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

জাবিতে শিক্ষকদের দুই গ্রুপের ধস্তাধস্তি

জাবি সংবাদদাতা ॥ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকায় পরিবহন ডিপোর সামনে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এবং সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের অনুসারী শিক্ষকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বিভিন্ন হলে নয় জন নতুন প্রভোস্ট নিয়োগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট-১৯৭৩, স্ট্যাটিউট ও সিন্ডিকেট পরিচালনা বিধি লঙ্ঘন করেছেন এমন অভিযোগ এনে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের শিক্ষকেরা। এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ভোর চারটার দিকে শরীফ এনামুল কবিরের অনুসারী কয়েকজন শিক্ষক পরিবহন ডিপোর সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা পরিবহন ডিপোর ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে ফারজানা ইসলামের অনুসারী শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে তালা খুলে দেয়ার অনুরোধ জানালে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির ঘটনায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী পালন করেন। শরীফ এনামুল কবিরপন্থী শিক্ষকরা তাদের ওপর হামলাকারী শিক্ষকদের বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন। অন্যদিকে উপাচার্য ফারজানা ইসলামপন্থী শিক্ষকরা তাদের ওপর হামলা হয়েছে দাবি করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন। এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট পালন করতে গেলে উপাচার্য পন্থী ২৫-৩০ জন শিক্ষক আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষকদের মধ্যে যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক রশীদ হারুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
×