স্টাফ রিপোর্টার ॥ আপীল বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ৪ জনকে অসৌজন্যমূলকভাবে গ্রেফতার করা কেন বেআইনী নয় তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এছাড়া এই গ্রেফতার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের আইজি, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ মোট ১৪ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিএনপির এই চার নেতা হলেন, দলের যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউর রহমান বাবু, ঢাকা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ, তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলন (পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে মারা যান)। এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজুদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করে।
আদালতের আদেশের পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, মিলনের ওপর অসম্ভব অত্যাচার করা হয়, পরে তার মৃত্যু হয়েছে। আমাদের আপীল বিভাগের একটি রায় আছে কীভাবে গ্রেফতার করতে হবে, রিমান্ডে নেয়ার বিষয়ে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেটা সকল প্রশাসনের জন্য বাধ্যতামূলক। খুবই পরিচ্ছন্ন এবং সুদূরপ্রসারী রায়। এই চারজনকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে আইন ও সুপ্রীমকোর্টের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী’। রুলের পর আগামী ১ অগাস্ট আবেদনটির পরবর্তী শুনানির দিন আদালত নির্ধারণ করেছে বলে জানান তিনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: