পাঁচ জেলার নামের ইংরেজী বানান পাল্টে গেল ॥ কর্পোরেশন হলো ময়মনসিংহ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলার সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে দেশের পাঁচ জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বাদশ সিটি কর্পোরেশন হিসেবে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) বৈঠকে এসব সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বগুড়া, বরিশাল ও যশোর জেলার নামের ইংরেজী বানান পরিবর্তন হবে। এখন ‘ঈযরঃঃধমড়হম’ এর পরিবর্তে বানান ‘ঈযধঃঃড়মৎধস’, ‘ঈড়সরষষধ’ এর পরিবর্তে ‘ঈঁসরষষধ’, ‘ইধৎরংধষ’ এর পরিবর্তে ‘ইধৎরংযধষ’, ‘ঔবংংড়ৎব’ এর পরিবর্তে ‘ঔধংযড়ৎব’ এবং ‘ইড়মৎধ’ এর পরিবর্তন করে ‘ইড়মঁৎধ’ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম এ তথ্য জানান। এতদিন চট্টগ্রামের ইংরেজি বানান ‘ঈযরঃঃধমড়হম’, কুমিল্লার বানান ‘ঈড়সরষষধ’, বরিশাল বানান ‘ইধৎরংধষ’, যশোরের বানান ‘ঔবংংড়ৎব’ ও বগুড়ার বানান ‘ইড়মৎধ’ লেখা হচ্ছিল। ময়মনসিংহ নতুন সিটি কর্পোরেশন ॥ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে বয়ড়া ও আকুয়া ইউনিয়নের পুরোটা এবং খাগডহর, চরঈশ্বরদিয়া, দাপুনিয়া, ভাবখালী, সিরতা ও চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের আংশিক এলাকাকে ময়মনসিংহ পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করে এই সিটি করপোরেশনের এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের আয়তন হবে ৯১ দশমিক ৩১৫ বর্গকিলোমিটার। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব হবে ৫ হাজার ১৬৭ জন। আর মোট জনসংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার ৮৫৮ জন। এছাড়াও নিকার বৈঠকে কুমিল্লা জেলার নবসৃষ্ট লালমাই উপজেলার সদর দফতর স্থাপনের স্থান পরিবর্তনের প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে। আগে সদর দফতরের স্থান ছিল ৪৭ নম্বর জয়নগর মৌজায়, নতুন করে ৩৬ নম্বর উত্তর ফতেপুর মৌজায় সদর দফতরের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪৭ নম্বর জয়নগর মৌজায় কৃষিজমি ছিল জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জয়নগর মৌজা প্রধান সড়ক থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ছিল। কিন্তু উত্তর ফতেপুর মৌজা রাস্তার কাছে এবং ওই জায়গায় ইটভাঁটি রয়েছে। প্রসঙ্গত নতুন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানাসহ প্রশাসনিক ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকে নিকার সভায়। একই সঙ্গে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে নিকার। প্রধানমন্ত্রী এই কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন।