ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তদন্তের আগে ইউএস বাংলা দুর্ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৪ মার্চ ২০১৮

তদন্তের আগে ইউএস বাংলা দুর্ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলা  যাবে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নেপালে ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত কবে নাগাদ শেষ হবে- সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নয় সিভিল এভিয়েশন। এ নিয়ে তদন্তের আগে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান। তিনি বলেনÑ ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্ত কবে নাগাদ শেষ হবে- তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানান। উড়োজাহাজটির পাইলটের কথোপকথনের রেকর্ড প্রসঙ্গে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমিও ইউটিউব থেকে শুনেছি। কিন্তু এগুলো ভেরিফাইড না। আমরা এনালাইসিস করছি। এখনই মন্তব্য করা যাবে না, মন্তব্য করা উচিতও না। আমাদের একটি প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। নেপালের সঙ্গে আমরা কাজ করব। মূল কাজটি করবে নেপাল। এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান বলেন, ব্ল্যাকবক্সের তথ্য উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠালে তারা তথ্য উদ্ধার করতে পারবে। তখন অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে। কোন কিছুই গোপন থাকবে না। তবে কবে নাগাদ তদন্ত শেষ হবে- এটা বলা মুশকিল। কারণ বের করব, এ ঘটনার যেন রিপিটিশন না হয়। এ ধরনের ঘটনার পর দুটি করণীয় আছে উল্লেখ করে নাইম হাসান বলেন, একটি হলো তদন্ত অন্যটি হচ্ছে হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার করা ও লাশ শনাক্ত করা। তদন্ত অংশে আমরা তদন্ত করছি না, কারণ আমাদের এখতিয়ার নেই। নেপাল ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে। এছাড়া আমরাও একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, আর্মি, নেভি, এয়ার ফোর্সে সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, কোন প্রয়োজন হলে তারা সাহায্য করবে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ লাশ শনাক্ত করা। অনেক দেশের যাত্রীই সেখানে ছিলেন। তাদেরও শনাক্ত করা দরকার। এক্ষেত্রে ইউএস-বাংলা স্বজনদের নেপালে নিয়ে গিয়ে এ কাজটি সহজ করেছে। যাত্রী ও উড়োজাহাজের বীমা রয়েছে। উড়োজাহাজটির কোন ত্রুটি ছিল কিনা জনকণ্ঠের এমন প্রশ্নের জবাবে নাইম হাসান বলেন- সিভিল এভিয়েশনের সার্টিফিকেশন ছাড়া কোন উড়োজাহাজ চলতে পারে না। এই উড়োজাহাজটি নেপালে যাওয়ার আগেও একটি ফ্লাইট করে এসেছে। আমরা অনেক সময় টেস্ট ফ্লাইট দেই, উড়োজাহাজ ঠিক আছে কিনা, তা চেক করা হয়। ওই দিন সকালে একবার ও পরে দুপুরে আরেকবার উড়োজাহজটি গিয়েছিল ফ্লাইটে। অতএব উড়োজাহাজটি ভাল ছিল, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। উড়োজাহাজের প্রত্যেক তথ্য আমাদের ফ্লাইট সেফটি বিভাগে থাকবে। ওই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন আগের রাতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন, পরে জোর করে তাকে ফ্লাইটে দেয়া হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নাইম হাসান বলেন কোন পাইলটকে অপারেশনে রাখবে কি রাখবে না, এটা এয়ারলাইন্সের ব্যাপার। পাইলট যদি বরখাস্ত হয়, তাহলে মেন্টাল এ্যাফেক্ট থাকতে পারে। কিন্তু যদি পাইলট নিজে ইস্তফা দিয়ে থাকেন এবং মিচ্যুয়ালি ফ্লাইটে যান, এটা দোষের কিছু না। পাইলট অতিরিক্ত ফ্লাইট করেছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নাইম হাসান বলেন, এটি পরিষ্কার হওয়ার জন্য পাইলটের লগবুক দেখতে হবে। আসলে তিনি কতঘণ্টা ফ্লাই করেছিলেন। লগবুক না দেখে এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না। ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান নাইম হাসান বলেন, ভেরি গুড পাইলট, আমার ছাত্র ছিলেন। ড্যাশ-৮-এ তিনি খুব ভাল ছিলেন। এটা কি বলব আমি- তার বদনসিব।
×