ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উদ্বেগ শুধু তখনই যখন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকেন

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের দেনা নিয়ে মাথাব্যথা নেই দলের

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের দেনা নিয়ে মাথাব্যথা নেই দলের

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০১৯ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ৯৮ হাজার ৪শ’ কোটি ডলার এবং তা প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছোবে বলে আগাম বলা হয়েছে। খবর নিউজ স্টেটম্যান অনলাইনের। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কোম্পানিগুলোকে ৬ বার দেউলে করেছেন। তিনি গর্বের সঙ্গে বলেছেন, ঋণের রাজা তিনি। তিনি ১শ’ ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১শ’ কোটির অধিক ডলার এখনও পরিশোধ করেননি। তাই এটা উদ্ঘাটনে সত্যিই কি আমাদের বিস্মিত হওয়া উচিত যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক দিক থেকে রক্ষণশীল হওয়ার জন্য কেবল ভান করে যাচ্ছেন? ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস ১২ ফেব্রুয়ারির ২০১৯ সালের জন্য ৪ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের এক কেন্দ্রীয় বাজেট প্রকাশ করে। ব্লুসবার্গের আগাম ঘোষণা অনুযায়ী এ বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ৯৮ হাজার ৪শ’ কোটি ডলার এবং তা প্রায় দ্বিগুণ হবে। আগামী দশকে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার। জাতীয় বাজেট পৌঁছাবে প্রায় ৩০ ট্রিলিয়ন ডলারে এবং বাজেটে ভারসাম্য থাকবে না। এসব কারণে ট্রাম্পের কোন ভাবান্তর নেই। দলে তিনি স্পষ্ট মিথ্যেবাদীও নন। বাস্তবতা এই যে, ভারসাম্য বাজেটের পক্ষে কোন ধরনের আদর্শগত সঙ্গতি কখনও দেখা যায়নি। কোন ডেমোক্র্যাট হোয়াইট হাউসে দায়িত্বে থাকলে রিপাবলিকানরা বরং ঋণ ও ঘাটতির ব্যাপারে নৈরাশ্যতার সঙ্গে চিৎকার করেন। ঐতিহাসিক রেকর্ডে দেখা যায়, মহা অর্থনেতিক মন্দার পর বারাক ওবামা ছাড়া প্রত্যেক ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট (ট্রম্যান, কেনেডি, জনসন, কাটার, ক্লিনটন) জিডিপির একটা অনুপাত হিসাবে জাতীয় ঋণ হ্রাস করেছেন। কঠিন বৈসাদৃশ্য হচ্ছে, রিচার্ড নিক্সন ১৯৭৪ সালে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর রিপাবলিকান দলের কোন প্রেসিডেন্ট (ফোর্ড, রিগান, বুশ সিনিয়র, বুশ জুনিয়র) জাতীয় ঋণ হ্রাসে সমর্থ হননি। রোনাল্ড রিগানের সময় ঋণ তিনগুণ বেড়েছে এবং দ্বিগুণ হয়েছে জর্জ ডব্লিউ বুশের সময়। বাজেট ঘাটতি তাদের পর্যবেক্ষণের মধ্যেই ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ভিত্তিহীন কর ছাঁট ও সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির সম্মিলনের প্রতি ধন্যবাদ। সত্যিকারভাবে গত ৫০ বছরের বেশি সময়ে একমাত্র ডেমোক্র্যাটিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তিনি বাজেট ভারসাম্যকরণে সফল হয়েছেন। তাই ট্রাম্প তার জিওপি পূর্বসূরিদের পথে অনুসরণ করছেন। ওবামা সময়ে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিটচ ম্যাককানেল ও হাউস স্পীকার পল রায়ান ঘাটতির পক্ষে নিজেদের প্রকাশ ঘটিয়েছেন এবং অর্থ সংক্রান্ত দায়িত্বহীনতার জন্য ডেমোক্র্যাটদের অবিরত ভর্ৎসনা করেছেন। ম্যাককানেল ২০১০ সালে দাবি করেন যে, ডেমোক্র্যাটদের ব্যয় ও ঋণ এ দেশে এ রকমটা কখনও দেখা যায়নি। এবং এ ব্যয় ও ঋণ আমাদের সন্তানদের জীবিকার জন্যই কেবল হুমকি নয়। হুমকি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও। রায়ান ২০১২ সালে বলেছেন, কোন ঋণ সঙ্কট আমাদের সামনে দুলছে এবং ইঙ্গিত দিচ্ছে যুুক্তরাষ্ট্র গ্রিসের পথ অনুসরণ করতে পারে।
×