ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল, বিশ্বে নন্দিত ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল, বিশ্বে নন্দিত ॥ রাষ্ট্রপতি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ব্রতী হওয়ার জন্য দেশের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হব। সম্ভাবনার উজ্জ্বল এক সময় অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে নন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তরুণদের সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করার গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে। রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর পরই বলেছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া স্বাধীনতা অর্থহীন। অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম পরিচালনা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে প্রাণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ অগণতান্ত্রিক শাসনের কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের এক অভূতপূর্ব উচ্চতায় অধিষ্ঠিত। বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রসঙ্গ তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রায় সকল সূচকে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিম-লে এক রোল মডেল হিসেবে নন্দিত। সিভাসুর সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি দেশের উন্নয়নে যুবসমাজের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি আমাদের এই যুবসমাজ। প্রায় ৬ কোটি কর্মক্ষম নারী-পুুরুষ দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট আহরণের এক অপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে যুবসমাজকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, তোমাদের এ অর্জনে দেশের প্রত্যেকটি মানুষের অবদান রয়েছে। তোমরা সেবা, সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম দিয়ে এই সনদের মান সমুজ্জ্বল রাখবে। মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রসর ও মেধাভিত্তিক জাতি সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যায় ও অসত্যের কাছে কখনও মাথা নত করা যাবে না। বিবেককে বিকিয়ে দেয়া যাবে না। লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতাকে আরও অর্থবহ করতে শিক্ষার্থীদের অবদান রাখতে হবে। বক্তব্যে তিনি কৃষি ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে নতুন নতুন উদ্ভাবনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় গবেষক ও বিজ্ঞানীদের ফসল ও প্রাণিসম্পদের নতুন নতুন জাত ও পদ্ধতি আবিষ্কারে মনোযোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে সিভাসুর মত বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমিরেটার্স অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। অনুষ্ঠানে সিভাসুর ৮৪৪ জন স্নাতক, ২১৬ জন স্নাতকোত্তর এবং ২ জন পিএইচডি অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।
×