ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আলী যাকেরের অভিনয় জীবনের গল্পে মুগ্ধ দর্শক শ্রোতা

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আলী যাকেরের অভিনয় জীবনের গল্পে মুগ্ধ দর্শক শ্রোতা

গৌতম পান্ডে ॥ ‘মনোবলের জোরেই নাটক করতে এগিয়ে এসেছি। আমার ধারণা, যদি মনে করা হয় আমি ভাল কাজ করতে পারব, তাহলে তা পারা যায়। আমি নিজের জীবনটা নিজেই গড়েছি। ছাত্রাবস্থায় বাবা-মা-দিদি-অনেককেই হারিয়েছি।আমি নাটক করতে পারব বলেই এতে এসেছি। আমার মেধা নেই কিন্তু ইচ্ছা আছে। আমার প্রাণের বিষয়গুলোর কাছে আমি সৎ হওয়ার চেষ্টা করেছি। অভিনয় আমাকে হাতে ধরে কেউ শেখাননি। চেষ্টার জোরেই শিখতে হয়েছে’- নিজের অভিনয় জীবনের গল্প শোনতে গিয়ে এসব কথা বললেন অভিনেতা, নাট্য নির্দেশক, নাট্যকার ও লেখক আলী যাকের। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে শুক্রবার সকালে ‘আলী যাকেরের সঙ্গে কিছুক্ষণ’ শীর্ষক এ বিশেষ কথপোকথনের আয়োজন করে নাট্য সংগঠন থিয়েটার ফ্যাক্টরি। অনুষ্ঠানে আলী যাকের তার সুদীর্ঘ নাট্য অভিযাত্রার অভিজ্ঞতা নিজের বয়ানে বর্ণনা করেন। তার অভিনয় জীবনের গল্প শুণে মুগ্ধ হোন উপস্থিত দর্শক শ্রোতারা। দলপ্রধান অলোক বসুর সঞ্চালনায় আলি যাকেরের সৃজিত চরিত্র ও নির্দেশিত নাটক নিয়ে কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি মফিদুল হক, নাট্যজন ড. এনামুল হক ও ম. হামিদ প্রমুখ। নাটক প্রসঙ্গে আলী যাকের বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, হয়ত তার মধ্যে অনেক অসম্পূর্ণ ছিল, ভুল ছিল। কিন্তু যা করেছি তা বলতে পারি। নাট্যাঙ্গনে আসার শুরুর দিকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের নবেম্বরের দিকের কথা। আমি তখন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ইংরেজী বিভাগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিবেদন লেখা ও পাঠ করতাম। স্বাধীনতার এ যুদ্ধকে বহির্বিশ্বে জানান দেয়ার জন্যই এ কাজ করা। আমরা কেন যুদ্ধ করছি এ ব্যাপারে বিশ্বকে জানিয়ে দেয়াই ছিল প্রধান কাজ। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ২১ ফেব্রুয়ারির জন্য শহীদ মুনীর চৌধুরী রচিত ‘কবর’ নাটক দর্শনীর বিনিময়ে আমরা প্রথম মঞ্চায়ন করি। পরবর্তীতে নিয়মিত দর্শনীর বিনিময়ে ‘বাকি ইতিহাস’ প্রযোজনা দিয়েই নিয়মিত নাট্য চর্চার ধারাবাহিকতা শুরু হয়। বর্তমান টিভি নাটক সম্পর্কে তিনি বলেন, টিভিতে নাইন্টি সিক্স পার্সেন্ট নাটক দেখার মতো না। প্রমিত বাংলা উচ্চারণ শিখলে, যে কোন আঞ্চলিক বাংলা কথা বলতে পারা যায়। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটকের বিভাগ রয়েছে। এখনকার নাট্যকর্মীরা ভাগ্যবান। আমাদের সময়ে এমন ছিল না। নিজেদের চেষ্টায়ই শিখতে হয়েছে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে আলী যাকের নিজের সৃজনকর্ম নিয়ে নাট্যামোদী ও নতুন প্রজন্মের নাট্যজনদের কৌতূহলী প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
×