ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে মেঠোপথ থিয়েটারের ‘অতঃপর মাধো’ নাটকের ৩টি প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ভারতে মেঠোপথ থিয়েটারের ‘অতঃপর মাধো’ নাটকের ৩টি প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে গত ২০১৭ সালের ২ জুন মেঠোপথ থিয়েটারে ‘অতঃপর মাধো’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। এ প্রযোজনা মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে তরুণ নাট্যকর্মী, সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী শামীমা আক্তার মুক্তার নেতৃত্বে দেশীয় থিয়েটার অঙ্গনে যুক্ত হয় নতুন নাট্যসংগঠন মেঠোপথ থিয়েটার। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে এ পর্যন্ত ‘অতঃপর মাধো’ নাটকের বেশ কিছু প্রদর্শনী করেছেন দলটি। এরই মধ্যে নাটকটি মঞ্চাঙ্গনের দর্শক-সমালোচকদের কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।দেশে প্রশংসিত হওয়ার পর এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভন্ন উৎসবে নাটকটির তিনটি মঞ্চায়ন হবে। এর মধ্যে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি রাজবল হাট সৃজন নাট্যমেলায় একটি, ১২ ফেব্রুয়ারি বসির হাটে কিংশুক নাট্যমেলায় একটি এবং আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গবর ডাঙ্গায় কথাপ্রসঙ্গ জাতীয় নট্যমেলায় ‘অতঃপর মাধো’ নাটকে আরও একটি প্রদর্শনী হবে। তিনটি প্রদর্শনী করার লক্ষে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মেঠোপথ থিয়েটারের ৫ সদস্যের একটি দল ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা হবে । মেঠোপথ থিয়েটারের প্রথম প্রযোজনা ‘অতঃপর মাধো’। রবীন্দ্রনাথের ‘মাধো’ কবিতা অবলম্বনে নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন অলোক বসু। নাটকে ১২টি চরিত্রে প্রাণবন্ত অভিনয় করছেন তারুণ্যদীপ্ত দুই নারী অভিনয়শিল্পী শামীমা আক্তার মুক্তা ও শারমীন সঙ্গীতা খানম। নাটকের সেট, লাইট ও পোশাক পরিকল্পনায় ফয়েজ জহির, সঙ্গীত পরিকল্পনায় শিশির রহমান, কোরিওগ্রাফি সামিউন জাহান দোলা ও শারমীন সোহেলী খানম। সার্বিক সহযোগিতায় ললিতা রায়, মাহবুবুর রহমান ও সাজ্জাদ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছড়ার ছবি’ গ্রন্থে ‘মাধো’ কবিতা অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য শিশু চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য তৈরি করেছিলেন অলোক বসু। এবার এটিকে মেঠোপথ থিয়েটারের জন্য মঞ্চনাট্যরূপের পাশাপাশি নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। সফলও হয়েছেন। পরিণত বয়সের মাধোর দৃষ্টিকোণ থেকে ‘মাধো’ নাটকের কাহিনীর শুরু। পরিণত মাধোর উপলব্ধিতে ধরা দেয় শৈশবের মাধো। বর্তমানের মাধো পাটকলে কাজ করে। শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে পাটকল বন্ধ। অবসর কাটে না, তাই মাধো নদীর ঘাটে বসে থাকে। নদী পার হয়ে একটা কুকুর তার ঘাটের দিকে আসতে দেখে মাধোর ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। তার একটা কুকুর ছিল। নাম ‘বটু’। বটুকে নিয়েই কাটত তার শৈশবের সারাবেলা। এই কুকুরকে দেখে একে একে তার শৈশবের সব কথা মনে পড়ে যায়, নস্টালজিয়ায় ভুগতে থাকে সে। তার মনে পড়ে মা-বাবার কথা, ভিটে-মাটির কথা। স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা মাধো নিজ ভিটার উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
×