ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আহতদের মধ্যে মেয়র আইভীও রয়েছেন

নারায়ণগঞ্জে হকার বসা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

নারায়ণগঞ্জে হকার বসা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ নগরীতে ফুটপাথে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমর্থকদের মধ্যে চাষাঢ়া এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় চাষাঢ়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় মেয়র আইভী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই শতাধিক শর্টগানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। তবে সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ৯৮ রাউন্ড শর্টগান ও ২ রাউন্ড টিয়ারশেল ব্যবহার করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পুরো চাষাঢ়ার বঙ্গবন্ধু সড়কের সকল দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ নগরীতে ২ প্লাটুন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান নগরীর ফুটপাথে বিকেল থেকে উচ্ছেদ করা হকারদের বসানোর ঘোষণা দেয়ার প্রতিবাদে নগরভবন থেকে হেঁটে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মিছিলসহ চাষাঢ়া এলাকায় আসেন। আইভীর সমর্থকরা জানান, মুক্তি জেনারেল হাসপাতালের সামনে শামীম ওসমানের সমর্থক ও হকাররা মেয়র সমর্থকদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকেন। এ সময় আইভী পড়ে গেলে নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে তাকে রক্ষা করেন। তাদের দাবি, ক্যাডার নিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে হকারদের নিয়ে এসে আমাদের ওপর বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়তে থাকে। এছাড়া আমাদের লক্ষ্য করে ওই নিয়াজুল গুলিও ছুড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ সময় নিয়াজুলকে আইভীর সমর্থকরা মারধর করেন। এরপর থেকে চলতে থাকে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ। পুলিশের সঙ্গে হকার ও উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া পাটকেল নিক্ষেপে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ দুই শতাধিক রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে বলে একটি সূত্র জানায়। এ সময় নগরীর চাষাঢ়া থেকে দুই নং রেলগেট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চাষাঢ়া এলাকার সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে হকারদের সমর্থনে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সড়কে নেমে এসে হকারদের পক্ষ নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থান করেন। সংঘর্ষের সময় লোকজন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। সংঘর্ষের ঘটনায় মেয়র আইভী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৭টার পর ধীরে ধীরে শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। রাত ৮টার পর থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। রাতে পুলিশ টহলসহ চাষাঢ়ার শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে শহরের লোকজন আবারও সংঘর্ষের আতঙ্কে ভুগছে। এ ঘটনায় মেয়র আইভী ইটের আঘাতে আহত হন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ রেজা উজ্জ্বল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফউদ্দিন সবুজ, যুমনা টেলিভিশনের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আমীর হুসাইন স্মিথ ও ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মজিবুল হক পলাশ, নিয়াজুল ও সাত পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের সময় আহত মেয়র ডাঃ আইভী নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়ে বলেন, শামীম ওসমানের নির্দেশে তার ক্যাডাররা আমার ওপর এবং নিরীহ নগরবাসীর ওপর হামলা চালিয়েছে। নিয়াজুল পিস্তল উঁচিয়ে গুলিও ছুড়েছে। এতে আমিসহ নারায়ণগঞ্জের যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, আমি নগরভবন থেকে হেঁটে চাষাঢ়া আসছিলাম প্রধানমন্ত্রীর আনুশাসন সম্পর্কে হকারদের সঙ্গে কথা বলতে। যে ফুটপাথ হকারমুক্ত রাখার জন্য নির্দেশ আছে, আপনাদের বসানোর বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য। এই কথা বলার জন্য আসছিলাম কিন্তু শামীম ওসমান কোন কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হঠাৎ করে কেন শামীম ওসমান রাইফেল ক্লাবে বসে থেকে এই আক্রমণটা করল? আর আজমেরি ওসমান ৪ থেকে ৫ বার সারা শহর টহল দিয়েছে। কোথায় ছিল প্রশাসন। আজকে প্রেসক্লাবের সামনে, ঝড়ের বেগে আমাদের ওপর অক্রমণ হলো, প্রশাসনের লোক কোথায়? শহরের মধ্যে ওপেন গুলি হলো প্রশাসন কোথায়? ডিসি সাহেব প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন মানেন না। প্রধানমন্ত্রীর সার্কুলেশনে আছে, সিটি কর্পোরেশন যখন মিটিং ডাকবে সেই মিটিংয়ে ডিসি এবং এসপি উপস্থিত থাকবেন। এই সমস্যাগুলো আলোচনা হবে। এই আলোচনার ভিত্তিতে সকল প্রশাসন সিটিকে সহযোগিতা করবে। প্রশাসন সিটি কর্পোরেশনের একটা মিটিংয়েও উপস্থিত হয়নি। জেলার ডিসি ও এসপির নিস্ক্রিয় ভূমিকার কারণে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রত্যাহারের দাবি জানান। এদিকে চাষাঢ়ায় বঙ্গবন্ধু সড়কে হ্যান্ডমাইকে শামীম ওসমান বলেন, কেউ কেউ চাচ্ছে গো-গোল করে পরিস্থিতি অশান্ত করতে। এটা কোন রাজনৈতিক সংগ্রাম নয়। হকাররা চেয়েছে ফুটপাথে বসতে। যারা নিরীহ হকারদের রক্ত ঝরিয়েছে তাদের বিচার আল্লাহ করবেন। নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করতে দেয়া হবে না। আপনারা ধৈর্য্য ধরুন। কেউ যেন নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করতে না পারে। শামীম ওসমান বলেন, আমি দেখেছি অনেক বিএনপির ক্যাডার মাঠে নেমেছে। বিএনপির মার্ডার কেসের আসামি আছে। মার্ডার কেসের আসামির ভাইয়েরা মেয়রের পেছনে অস্ত্র নিয়ে নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। মেয়র বোকামি করতে পারে। আমি বোকা নই। এটা কোন রাজনৈতিক সংগ্রাম নয়। হকাররা বসেবে কি বসবে না এটা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঠিক করবেন। বিকল্প ব্যবস্থা না দেয়া পর্যন্ত হকার আছে হকার বসবে। আপনারা যদি সাহায্য না করতে চান ওদের সঙ্গে আমি একাই পারি। দয়া করে পিছে যান। দেখি কার কত সাহস আছে। প্রশাসনের ভূমিকা যেটা ছিল পুলিশ নিয়েছে। আমাদের যদি মাঠে নামতে হয় একহাজার দুইজার নামবে না। লাখ লাখ মানুষ মাঠে নামবে। নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুটিপক্ষই মুখোমুখি ছিল। দুপুর থেকে আমরা বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম। দু’পক্ষের উচ্ছৃঙ্খল কিছু লোক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ দু’পক্ষকে নিবৃত্ত করেছে। আমরা চেষ্টা করেছি জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে, দু’পক্ষকে শান্ত রাখতে এবং যাতে মানুষের শৃঙ্খলা বিঘœ হতে না পারে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯৮ রাউন্ড শর্টগান ও ২ রাউন্ড টিয়ারশেলের গুলি নিক্ষেপ করেছি। মেয়রের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি কী অভিযোগ করেছেন তা আমরা জানি না। তবে আমরা পরবর্তীতে খোঁজখবর নেব। রাত সাড়ে ১১টায় তিনি আরও জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের ৭ পুলিশ সদস্য ইটের আঘাতে সামান্য আহত হয়েছে। রাতেও পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তাই শহরে এখন ২ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে। উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কসহ প্রধান প্রধান সড়কের ফুটপাথ থেকে হকারদের উচ্ছেদ করে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। পুলিশের দাবি, হকার উচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে নগরীতে কোন যানজট সৃষ্টি হয়নি। উচ্ছেদের পর থেকে হকাররা ফুটপাথে বসে ব্যবসা করার জন্য মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, সড়ক অবরোধসহ নানাভাবে আন্দোলন করে আসছে। হকারদের এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ পাঁচ আসনের (জাপা) সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান হকারদের পুনর্বাসন এবং বিকল্প ব্যবস্থায় বসার জন্য সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর চিঠি দেন। ওই চিঠির জবাবে সিটি কর্পোরেশন হকারদের বসার জন্য চারটি স্থান নির্ধারণ করে দেয়। এদিকে সোমবার বিকেলে চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান হকারদের এক সমাবেশে ঘোষণা দেন রাস্তায় হকার বসবে। নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে বিকেল পাঁচটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত হকারদের বসানো হবে। কিন্তু আইভী ফুটপাথে হকার না বসানোর সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। এ নিয়ে হকার ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জ আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অনেকেই বলছে, শান্ত নারায়ণগঞ্জ আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে। সাংবাদিক আহত হওয়ায় ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা রাতে প্রেসক্লাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রফিক, যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ করেসপনডেন্ট আমির হুসাইন স্মিথ, ইনডিপেনডেন্টের জেলা প্রতিনিধি মজিবুল হক পলাশ, আরটিভির মোঃ শফিকুল ইসলামসহ ১০/১২ জন সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে)। গতকাল বিকেলে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী মিছিল করেন। এ সময় সাংবাদিক শরীফ উদ্দিন সবুজসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। বিবৃতিতে প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে)’র সভাপতি আব্দুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি বলেন, সাংবাদিক সবুজ, রফিক, স্মিথ, পলাশ, শফিকুলসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ঘটনাস্থলে পুলিশের পক্ষপাতিত্ব ভূমিকা বিষয়টি আমাদের আরও পরিষ্কার করেছে। আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল সাংবাদিকের পক্ষ থেকে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
×