ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে গ্যাস সঙ্কটের সমাধান হচ্ছে ॥ নতুন পাইপলাইন সংযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭

মুন্সীগঞ্জে গ্যাস সঙ্কটের সমাধান হচ্ছে ॥ নতুন পাইপলাইন সংযোগ

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির সার্বক্ষণিক গ্যাস সরবরাহ হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নতুন পাইপ ধলেশ্বরী নদী অতিক্রম করে মুন্সীগঞ্জে যুক্ত হয়েছে। ধলেশ্বরী নদীর তলদেশে (৩০ ফুট নিচ দিয়ে) এইচডিডি পদ্ধতিতে নদী ক্রসিংয়ের মাধ্যমে নবনির্মিত গ্যাস পাইপলাইনের সঙ্গে বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইনের টাই-ইন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ফিরিঙ্গি বাজার এলাকায় এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা। এই সময় ভারতের ফ্রেন্সলেজ ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস লিমিটেড কোম্পানির লোকাল এজেন্ট আব্দুল কাদের খান এবং তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এই নতুন পাইললাইন যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে এই সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাচ্ছে। দায়িত্বশীলরা জানান, এখন থেকেই এর সুফল পাওয়া যাবে। পুরোপুরি সুফল আসবে কয়েক দিনের মধ্যেই। এর আগে ১২ ইঞ্চি পাইপে মুন্সীগঞ্জের গ্যাস সরবরাহ হচ্ছিল। আবার এই লাইনে নদীর তলদেশে কয়েক দফা ছিদ্র ধরা পাড়ে। এই পুরনো ১২ ইঞ্চি পাইপে মরিচা পড়ে যাওয়ায় জোড়াতালি দিয়ে চলত। তখন গ্যাসের প্রেশার ছিল ৫ থেকে ৬-এ সীমাবদ্ধ। বর্তমানে নদীর তলদেশে নদী ক্রসিংয়ের মাধ্যমে নদীর ৩০ ফুট নিচ দিয়ে ২০ ইঞ্চি পাইপ লাগানো হয়েছে। এতে বর্তমানে গ্যাসের প্রেশার থাকবে ৫০ থেকে ৬০-এর উপরে। তাই মুন্সীগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। গত ১৫ বছর ধরে মুন্সীগঞ্জের মানুষের প্রাণের দাবি ছিল গ্যাসের স্বাভাবিক সরবরাহ। এর সমাধানের হয়নি দায়িত্বশীলদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করায়। বাংলাদেশের ছয় জেলায় গ্যাস সঙ্কটের সমাধানে সরকার ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে এই কাজের ঠিকাদার নিয়োগ করে। কাজটি পায় ভারতের ফ্রেন্সলেজ ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস লিমিটেড কোম্পানি। এই কোম্পানির বাংলাদেশ লোকাল এজেন্ট আব্দুল কাদের খান। এ বিষয়ে ভারতের ফ্রেন্সলেজ ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস লিমিটেড কোম্পানির লোকাল এজেন্ট আব্দুল কাদের খান জানান, অনেক বাধা বিঘেœর পর কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। ’১৬ সালে কাজটি হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়। পরে তা সমাধানের মধ্যদিয়ে সফল হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছয় জেলার কাজ এক টেন্ডারে মাধ্যমে দেয়া হয়। এতে মুন্সীগঞ্জ জেলার এই কাজের ব্যয় ৭ কোটি টাকার বেশি হবে। খান বলেন, বছর দশেক আগে মুক্তারপুর ব্রিজের ওপারে গ্যাসের ১২ ইঞ্চি পাইপলাইন কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলত। এখন নদীর তলদেশের ৩০ ফুট নিচদিয়ে ২০ ইঞ্চি পাইপ লাগানো হয়েছে। এটা এইচডিডি রিভার্স ক্রসিংয়ের মাধ্যমে নদীর ৩০ ফুট নিচ দিয়ে পাইপ লাগানো হয়। এটা খুব কঠিন কাজ ছিল।
×