ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গাবালী বনাঞ্চল ঘিরে চলছে অবৈধ ১১ স’মিল

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

রাঙ্গাবালী বনাঞ্চল ঘিরে চলছে অবৈধ ১১ স’মিল

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ বিধিমালা উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ বন বিভাগের বনাঞ্চল ঘিরে বছরের পর বছর অবাধে চলছে ১১ স’মিল। এগুলোর নেই কোন বৈধ লাইসেন্স। এলাকার এক শ্রেণীর প্রভাবশালী লোপ এগুলো চালাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে স’মিলগুলোতে নিয়মিত বনাঞ্চল থেকে পাচার করা কাঠ চেরাই করা হচ্ছে। আরও অভিযোগ করা হয়েছে, বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট মাসোহারার বিনিময়ে স’মিলগুলো চলছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ২০১২ সালের ২৭ মে প্রকাশিত গেজেটের প্রজ্ঞাপনের বিধি অনুযায়ী সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত কিংবা অন্য যে কোন ধরনের সরকারী বন থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স’মিল স্থাপন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি সরকারী অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং জনস্বাস্থ্য কিংবা পরিবেশের ক্ষতি করবে; এমন স্থানের ২০০ মিটার দূরে স’মিল স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে। উল্লেখিত কোন স্থানে স’মিল স্থাপন করা হলে ৯০ দিনের মধ্যে মালিক তা বন্ধ করে দেবে। অন্যথায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই স’মিল বন্ধ করার জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বন বিভাগের চরমোন্তাজ রেঞ্জের স্লুইস বাজারের বনাঞ্চল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে জিয়া ফরাজির একটি স’মিল, একই এলাকায় বন থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মাসুমের স’মিল, দারভাঙ্গা বন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে আবু মিয়ার স’মিল, দারভাঙ্গা স্লুইস এলাকায় বন থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে ফিরোজের স’মিল, মধ্য চরমোন্তাজে বন থেকে এক কিলোমিটার দূরে জামাল শরিফের স’মিল, চরবেষ্টিন এলাকায় বন থেকে এক কিলোমিটার দূরে শাহাজাদার স’মিল, নলুয়া এলাকায় বন থেকে এক কিলোমিটার দূরে মহিউদ্দিনের স’মিল, চরম-ল এলাকায় বন থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মোহন হোসেনের স’মিলসহ বিভিন্ন এলাকায় মোট ১১টি লাইসেন্সবিহীন অবৈধ স’মিল রয়েছে। যার সবগুলোই বনাঞ্চল থেকে মাত্র এক থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে চরবেষ্টিন ক্যাম্পের বিট কর্মকর্তা আবদুস সালাম জানান, তার বিটের আওতায় ৫টি স’মিল এরইমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। বাকিগুলো কিভাবে চলছে তা তিনি জানেন না। চরমোন্তাজ সদর ক্যাম্পের বিট কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আগের বিট অফিসার এগুলো বন্ধের জন্য নোটিস করেছিল। তারপরেও এগুলো চোখ এড়িয়ে চুরি করে চলে, তাদের দেখা মাত্র বন্ধ হয়ে যায়। মাসোহারা আদায় করার বিষয়টি সত্য নয়।
×