ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্ঘটনাস্থলে বাহিনী প্রধান

বিধ্বস্ত বিমান দুটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার শুরু

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭

বিধ্বস্ত বিমান দুটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার শুরু

চট্টগ্রাম অফিস/মহেশখালী প্রতিনিধি ॥ মহেশখালীতে বিমানবাহিনীর যে দুটি বিমান প্রশিক্ষণকালে বিধ্বস্ত হয়েছে এর উদ্ধার কাজ পরিপূর্ণভাবে শুরু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ধার শুরু হলেও বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ৬৫ জনের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মেজর নাজমুল। এছাড়া বৃহস্পতিবার বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিমান দুটির চার পাইলট বুধবার রাতেই উদ্ধার হয়েছেন। তাদের মধ্যে যে দু’জন আহত হয়েছেন তাদের অবস্থা তেমন গুরুতর নয়। আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এ দুটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। পৃথক পৃথকভাবে দুটি বিমান উড্ডয়নে নিয়োজিত ছিল। সংঘর্ষ হওয়ার পর দুই বিমানের চার বৈমানিক সফলভাবে প্যারাসুটের মাধ্যমে অবতরণ করতে সক্ষম হন। তাদের প্রত্যককে জীবিত অবস্থায় নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। চার বৈমানিকের মধ্যে ৩ জনকে বুধবার রাতেই বিমান বাহিনীর মেরিটাইম সার্চ এ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিএএফ জহুরুল হক ঘাটিতে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের স্থানান্তর করা হয় পতেঙ্গাস্থ নেভাল হাসপাতালে। আরেক পাইলটকে কক্সবাজারের গ্রাউন্ড রেসকিউ টিম উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজারে নেয়া হয়। পরে তাকে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের জহুরুল ঘাটিতে এনে আরও পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুর হক টুকুল জানিয়েছেন, বিধস্ত বিমান দুটি ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার কাজে চকরিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজারের ফায়ার কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। মহেশখালী নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, বিমানবাহিনীর ৫০ সদস্যের একটি দলকে মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান দেয়া হয়েছে। তারা দুটি দলে ভাগ হয়ে মহেশখালী পৌরসভার পুটিভিলা ও ছোট মহেশখালীর মাইজপাড়ায় দুটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এদিকে, বিমান দুর্ঘটনার কারণে মহেশখালীতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেছে প্রশাসন। মহেশখালীর ইউএনও মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, পুটিভিলার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক আবদুস সাত্তার ও ছোট মহেশখালীর লম্বাঘোনার পাশে মাইজপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পানের বরজ মালিকদেরও ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে তাদের তালিকা নিরুপণ করা হয়েছে।
×