ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

জনকণ্ঠের রিপোর্টার রহিম শেখ পেলেন পোল্ট্রি মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

জনকণ্ঠের রিপোর্টার রহিম শেখ পেলেন পোল্ট্রি মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পোল্ট্রি খাতের সঙ্কট ও সম্ভাবনা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য ‘দৈনিক সংবাদপত্র’ ক্যাটাগরিতে পোল্ট্রি মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড-২০১৭’ (প্রথম পুরস্কার) পেয়েছেন জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রহিম শেখ। শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) অনুষ্ঠানে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। পোল্ট্রি খাতের সঙ্কট, সম্ভাবনা ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে এ বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৯ জনকে চলতি বছর পোল্ট্রি মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ মফিজুর রহমানম, দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মুকুল এবং যমুনা টেলিভিশনের বিজনেস এডিটর সাজ্জাদ আলম খান তপু। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)-এর প্রেসিডেন্ট মসিউর রহমান। এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী খামারি মাসুদ রানা বলেন, ভিক্ষার ঝুলি হাতে না নিয়ে পোল্ট্রি ব্যবসাকে জীবন ধারনের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছি। কিন্তু পোল্ট্রি শিল্পই যদি না বাঁচে তবে আমরা বাঁচব কিভাবে? মাসুদ বলেন- বাজারে ডিম ও মুরগির দাম না পাওয়ায় খামারিরা খুব কষ্টে আছে। নিজের খামারকে ভালভাবে দাঁড় করাতে তিনি সরকারের কাছে সহযোগিতা চান। বক্তব্য রাখেন দেশের খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ- কুস্তি, কাবাডি, উশু, রোয়িং-এ জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক বিজয়ী শিরিন সুলতানা। তিনি নিজেও একজন সফল পোল্ট্রি উদ্যোক্তা। ২০১৩ সালে মাত্র ২৪শ’ মুরগি নিয়ে খামার শুরু করেছিলেন, বর্তমানে সে সংখ্যা ৩০ হাজার। শিরিন বলেন- সঠিক পরিকল্পনায় খামার করতে পারলে চাকরির জন্য জুতা ক্ষয় করার প্রয়োজন নেই। গ্রামের অনেক বেকার যুবক এখন পোল্ট্রি খামার করে স্বাবলম্বী। তবে একদিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং অন্যদিকে ডিম-মুরগির দাম পড়ে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন খামারিরা। মসিউর রহমান বলেন, বিপিআইসিসি’র মিডিয়া মনিটরিং রিপোর্ট অনুযায়ী গত এক বছরে শুধুমাত্র জাতীয় দৈনিকে ৭০০’র বেশি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এর পাশাপাশি সংবাদ সংস্থা, অনলাইন এবং টেলিভিশনে ৩০০’র অধিক রিপোর্ট হয়েছে। পোল্ট্রি ইস্যুতে অনেকগুলো টিভি টকশো হয়েছে। ঢাকার বাইরে থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোতেও পোল্ট্রি বিষয়ক রিপোর্ট এবং আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন- সাম্প্রতিক সময়ে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। খামারিরা অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেক কষ্টে গড়া এ শিল্পকে বাঁচাতে হবে। কারণ প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ শিল্পের সাথে জড়িত। তিনি বলেন- এখনও দেশের প্রচুর মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে কাজ করছে পোল্ট্রি শিল্প। তথ্য মন্ত্রণালয় আন্তরিক হলে ডিম ও মুরগির মাংস সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অনেক সহজ হবে বলে মনে করেন মসিউর রহমান।
×