ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

থাকছে এবার ইলেক্ট্রনিক টাইমার

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

থাকছে এবার ইলেক্ট্রনিক টাইমার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এ্যাথলেটিক্সের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। এর উদ্বোধন করবেন আইএএএফ সহ-সভাপতি দাহলান আল হামাদ। তিনদিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে ২৪ ডিসেম্বর। চার বছর পর জাতীয় এ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে এবার দেখা মিলবে ইলেক্ট্রনিক টাইমারের। তবে দীর্ঘদিন অযত্ন আর অবহেলায় থাকার কারণে মূল্যবান এই ডিভাইসটি বসাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনকে। এদিকে ইলেক্ট্রনিক টাইমারের ফলে স্প্রিন্টাররা নিজেদের টাইমিং সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে এবং আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন জাতীয় কোচ। গত কয়েকদিন ধরে ইলেক্ট্রনিক টাইমারের এই ডিভাইসগুলো নিয়ে চলছে টেকনিশিয়ানদের পর্যবেক্ষণ। হাতে সময় খুব একটা নেই। সবকিছু প্রস্তুত করতে হবে ২২ ডিসেম্বরের আগে। বলাবাহুল্য প্রায় দেড় কোটি টাকার জিনিসের অনেক কিছুই অকেজো হয়ে পড়েছে শুধু ব্যবহার না করার জন্য। টেকনিশিয়ানদের কয়েকজন বলেন, এগুলো ব্যবহার না করার জন্য অকেজো হয়ে পড়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই ঠিক করে ফেলতে পারব। সর্বশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসে এ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে বসানো হয়েছিল ইলেক্ট্রনিক টাইমার। তবে এই ডিভাইস চালানোর মতো দক্ষ লোকবল নেই এমন অজুহাত দিয়ে প্রায় চার বছর এগুলো ব্যবহারে কোন সহযোগিতা করেনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। কিন্তু এবার একক প্রচেষ্টায় এটি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেশন। এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে ইলেক্ট্রনিক টাইমার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফেডারেশনের অল্প বাজেটের মধ্যে এটা তাদের পক্ষেও করা অসম্ভব ছিল। কিন্তু এবার ফেডারেশন উদ্যোগ নিয়েছে নিজেদের বাজেট দিয়েই বিষয়টির সমাধান করার। স্প্রিন্টের আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে ইলেক্ট্রনিক টাইমার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাংলাদেশের এ্যাথলেটরা অভ্যস্ত হ্যান্ড টাইমিংয়ে। যার ফলে নিজেদের সঠিক টাইমিং নিয়েই ধোঁয়াশায় থাকেন তারা। তবে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে প্রযুক্তির এই ব্যবহার সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে অনেক সহায়তা করবে বলে মত জাতীয় কোচের। ইলেক্ট্রনিক টাইমার ঠিক করা হলে একই সঙ্গে পাওয়া যাবে ফটোফিনিশিংও। ২০১০ সাউথ এশিয়ান গেমস উপলক্ষে কেনা টাইমারগুলো নষ্ট গত চার বছর ধরে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের গড়িমসি উপেক্ষা করে অবশেষে সেগুলো ঠিক করার উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেশন। দাহলানের সফরে বিভিন্ন গেমসে বাংলাদেশের কোটাসহ অর্থনৈতিক অনুদানের ঘোষণা আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
×