ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়ের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ম্যারাডোনার

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

মেয়ের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ম্যারাডোনার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিদ্রোহী হিসেবেই তার খ্যাতি সমগ্র বিশ্বে। সারাজীবন অন্যায় আর অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার। বিপ্লবী আচরণ দিয়ে তিনি কামিয়েছেন এই খেতাব। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তার অসামান্য ফুটবল সত্তাকেই বড় করে দেখা হয়। নাম তার দিয়াগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা। স্বনামেই বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত। তবে পাগলাটে স্বভাবের কারণেও বিখ্যাত ম্যারাডোনা। এর আগে নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এবার নিজের দুই মেয়ের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার! শুধু তাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন আর্জেন্টিনার সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। ম্যারাডোনার অভিযোগ, ২০০০-২০০৫ সালের মধ্যে তার সাবেক স্ত্রী ক্লডিয়া ভিলফানে এবং দুই মেয়ে ডালমা ও জিয়ান্নিনা তার এ্যাকাউন্ট থেকে ৩.৪ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। সে টাকা তারা নাকি উরুগুয়ের একটি ব্যাংকে সরিয়ে নিয়েছেন। আর তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সম্পত্তি কিনেছেন বলেও দাবি করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। এ প্রসঙ্গে ম্যারাডোনার আইনজীবী জানিয়েছেন, উরুগুয়ের একটি ব্যাংকে ম্যারাডোনার কন্যা জিয়ান্নিনার এ্যাকাউন্ট ছিল। সেই এ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে এই টাকা। তাছাড়া এ বিষয়ে যখন আইনী লড়াই চলছিল তখন জিয়ান্নিনা কয়েক ঘণ্টার জন্য উরুগুয়ে চলে যান। এর কারণ নিশ্চয়ই বেড়াতে যাওয়া নয়। ভিলফানের সঙ্গে ম্যারাডোনা সম্পর্কে জড়ান ১৯৯৮ সালে। তাদের এই সম্পর্ক স্থায়ী ছিল ২০০৩ সাল পর্যন্ত। এবার সেই স্ত্রীর বিরুদ্ধেই জালিয়াতির অভিযোগ আনেন তিনি। সঙ্গে জড়িয়েছেন নিজের দুই কন্যাকেও। অথচ নিষিদ্ধ ড্রাগ সেবনের কারণে বেশ কয়েকবার ম্যারাডোনার জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়েছিল। এ কারণে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকাকে নিষিদ্ধও হতে হয়। নিষিদ্ধ ড্রাগ সেবনের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছিল ম্যারাডোনার জীবন নিয়ে। দু’বার তো মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসেন। ২০০০ ও ২০০৪ সালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পৌঁছে গিয়েছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবল তারকা। কিন্তু সে যাত্রায় দুই মেয়ে ডালমা ও জিয়ান্নিনার শুশ্রষায় নবজীবন পান। তারপর থেকে আর নিষিদ্ধ জগতে পা রাখেননি। যে মেয়েদের কল্যাণে ম্যারাডোনা নতুন জীবন পেয়েছেন এবার তাদের বিরুদ্ধেই মামলা ঠুকে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর। একেই বলে বুঝি পাগলামি!
×