স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ভবন সঙ্কটের কারণে জেলার বানারীপাড়া উপজেলার পশ্চিম চাখার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে তাঁবু টাঙিয়ে নেয়া হচ্ছে প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা। শুধু এ বছরই নয়, ২০১৫ সাল থেকেই এভাবে খোলা মাঠে পরীক্ষা দিচ্ছে খুদে শিক্ষার্থীরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বানারীপাড়া উপজেলায় ১২৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৫ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এবং সাতটি কিন্ডারগার্টেন মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন হাজার ২৮৫ জন। এর মধ্যে দুই হাজার ৭০৫ জন প্রাথমিক সমাপনী এবং ৫৮০ জন ইবতেদায়ি পরীক্ষার্থী। উপজেলায় কেন্দ্র সংখ্যা নয়টি।
জানা গেছে, পশ্চিম চাখার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের খোলা মাঠে ৩২২ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। এসব ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে রোদ থেকে বাঁচানোর জন্য অবশ্য তাঁবু টাঙানো হয়েছে। চাখার প্রাথমিক বিদ্যালয় একতলাবিশিষ্ট ভবনে কক্ষ সংখ্যা তিনটি। ওই তিনটি কক্ষে ৩২২ পরীক্ষার্থীর বসার জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ার কারণেই খোলা মাঠে তাঁবু টাঙিয়ে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী স্কুলগুলোতে কেন্দ্র করা যায় কিনা- এ বিষয়ে তিনি বলেন, কোন স্কুলেই পর্যাপ্ত জায়গা নেই। কয়েক বছর ধরে অনেক স্কুল ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় থাকার কারণে এ উপজেলায় ভবনের সঙ্কট রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে খোলা মাঠে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু বানারীপাড়া নয়; অনেক উপজেলায় ভবন সঙ্কটের কারণে খোলা আকাশের নিচে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। বিভাগের ছয় হাজার ১৬৮ স্কুলের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার স্কুল ভবন নানা সমস্যায় জর্জরিত। এর মধ্যে অনেক ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে ছয় শতাধিক স্কুল ভবন। বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। এতসংখ্যক পরীক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় কক্ষ না থাকায় বাধ্য হয়েই খোলা মাঠে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা লাইজু বলেন, ইতিপূর্বে ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ভবনের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। সম্প্রতি সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করায় এর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তিনি আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা প্রতি মাসেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: