ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেতু সংস্কার না করায় ১৫ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

সেতু সংস্কার না করায় ১৫ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইছামতি শাখা নদীর ভেঙ্গে যাওয়া সেতু এক বছরে সংস্কার হয়নি। সেতুর মাঝখান দিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া জরাজীর্ণ এই সেতুর ওপর প্রতিদিন ১৫টি গ্রামের মানুষ চলাফেরা করে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর মাঝখান দিয়ে অর্ধেক ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটি দিয়েই কোনক্রমে পার হচ্ছে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের খুঁটি মাটিতে পুঁতে আর বাঁশের মাচা বানিয়ে ঝুঁকি নিয়েও ১৫টি গ্রামের মানুষ পারাপার হচ্ছে। কিন্তু এই সেতুর ভেঙ্গে যাওয়া খ-াংশ বিগত একবছরেও সংস্কার করতে কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে জানা যায়, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর এলাকাবাসী পাঁচ শতাধিক বাঁশ আর কাঠ দিয়ে কোনরকম চলাচলের ব্যবস্থা করে। ইমামগঞ্জ, টোলবাসাইল, গুয়াখোলা, উত্তর রাঙ্গামালিয়া, পাথরঘাটা, রামকৃষ্ণদী, সতুরচর, দক্ষিণ রাঙ্গামালিয়া, ডাকাতিয়াপাড়া, গিরিধারীগঞ্জ, শিকদারপাড়াসহ পার্শ¦বর্তী ১৫ গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে পারাপার হয়। ইমামগঞ্জ-টোলবাসাইল থেকে গুয়াখোলা-পাথরঘাটা হয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের দ্বিতীয় ধলেশ্বরী ব্রিজের দক্ষিণ মুখে চলে গেছে এ রাস্তটি। ভৌগোলিক কারণে তাই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জানা যায়, ইছামতি শাখানদীর ওপর ১৯৯০ সালে নির্মিত সেতুটি ভেঙ্গে গেছে প্রায় এক বছর আগে। টোলবাসাইল গ্রামের সড়কের বাসাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতির শাখানদীটি। বাজারের কাছেই নির্মিত হয় সেতুটি। ভেঙ্গে পড়ার বছর তিনেক আগে সেতুটির মাঝের অংশ কিছুটা নিচু হয়ে গেছে বুঝতে পারেন তারা। স্থানীয় এলজিইডিকে খবর দিলে তারা এসে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে যায় ‘ভারি যানবাহন চলবে না’। সেই থেকে সেতু দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করত না। মাঝে মধ্যে ভ্যান, নসিমন, করিমন, বাইসাইকেল চলাচল করত। প্রায় ১০ বছর ধরে সেতুটির দুরবস্থা। এ চিত্র সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়। এলাকাবাসীর দুর্ভোগের চিত্র দেখে ২০১০ সালে এলজিইডি বিভাগের তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে সেতুটি নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়। এর পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর জিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু দরপত্রটি অনিবার্য কারণে দীর্ঘ চার বছর পর বাতিল করা হয়। বাসাইল ইউনিয়নের সদস্য মোঃ আইয়ুব খান জানান, গত ১২ আগস্ট রাতে সেতুটির মাঝের অংশে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কা লেগে সেতুর পশ্চিম পাশের অংশ ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। এ সময় সেতুর উপরে থাকা দুই পথচারী আহত হন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সোয়েব বিন আজম জানান, শীঘ্রই সেতুটি নিলামে ভেঙ্গে সেতুর ওপরে বেইলি বসানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×