ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

* ২১ ডিসেম্বর রসিক নির্বাচন ;###;* ৫ নবেম্বর তফসিল ঘোষণা ;###;* পছন্দের প্রার্থী খুঁজছেন ভোটাররা

মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৪ নভেম্বর ২০১৭

মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে নির্বাচনী প্রচারয় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ছুটছেন অলি-গলি, পাড়া-মহল্লায়। তাদের প্রত্যেকেই আধুনিক যানজটমুক্ত পরিকল্পিত নগরী গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নগরজুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের ছবি সংবলিত ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে ভরে গেছে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লা। এর পাশাপাশি কে হবেন আগামীর নগরপিতা তা নিয়েও চলছে হিসাবনিকাশ। জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র আবদুর রউফ মানিক এবং দলীয় চেয়ারম্যান এরশাদের ভাতিজা সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। পার্টির সঙ্গে বর্তমানে তাদের কোন সাংগঠনিক যোগাযোগ নেই। ফলে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির একমাত্র প্রার্থী মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। সেই সুবাদে যথেষ্ট সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন তিনি। তিনি বিপুল ভোটে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী এবং ভোটারদের সঙ্গে মোস্তফার সখ্যতা সবচেয়ে বেশী রয়েছে। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (আরসিসি) প্রথম নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মোস্তফা বিজয়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ওই নির্বাচনে মোস্তফার বিজয়ী হওয়ার যথেষ্ট সম্ভবনা ছিল। কিন্তু দলীয় কোন্দলের কারণে তিনি বর্তমান মেয়র শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর কাছে ২৬ হাজার ২৫০ ভোটে পরাজিত হন। শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু এক লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়েছিলেন। তার নিকটতম মোস্তফা পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট। তাছাড়া, রংপুরে এরশাদের জনপ্রিয়তা ও ব্যক্তি ইমেজ এখনও অটুট আছে। প্রায় সাত মাস আগেই দলীয় চেয়ারম্যান এরশাদ মোস্তফাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। এরশাদের জনপ্রিয়তা ও ব্যক্তি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে সাত মাস ধরেই নির্বাচনী প্রচারে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মোস্তফা। অন্যান্য দলগুলোর প্রার্থী নির্ধারণ না হওয়ায় প্রায় ফাঁকা মাঠে এককভাবে অনেকটা নির্বাচনী মাঠ গুছিয়েছেন তিনি। জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী এবং সিটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, সাবেক পৌর মেয়র আবদুর রউফ মানিক এবং এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ছাড়া নির্বাচন করলে জাতীয় পার্টির ভোট খুব একটা টানতে পারবেন না । তাদের ভোটে দাঁড়ানো বা না দাঁড়ানোতে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়বে না। ফলে মোস্তফা জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেলে তার সঙ্গেই হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আওয়ামী লীগ সিটি মেয়র চাইলে মোস্তাকে বলিষ্ঠ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিবেচনা করে অধিকতর যোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। অপরদিকে, রংপুর জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র এবং সাধারণ নেতাকর্মীরা মনে করেন, ‘স্থানীয় এই সিটি নির্বাচন আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ। সিটি নির্বাচনে জয়-পরাজয় প্রভাব ফেলবে আগামী সংসদ নির্বাচনে সদর আসনের ফলাফলে’। কারণ এরশাদের ঘাঁটি রংপুরের ৬টি আসনের মধ্যে চারটি আছে নৌকার দখলে। জাতীয় পার্টির আছে রংপুর সদর আর গংগাচড়া আসনটি। জাতীয় নির্বাচনে ওই চারটিসহ নতুন দুইটি দখলে নিতে রংপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু বিপত্তি দেখা দিয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এক ডজন প্রার্থীরও বেশি। তাদের অধিকাংশই দলের নিবেদিত এবং একনিষ্ঠ কর্মী । এদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জামান, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, রংপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ আহাম্মেদ, রংপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম আশিকুর রহমানের ছেলে রাশেক রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি ম-ল, আওয়ামী আইনজীবী সমিতির নেতা রথীশ চন্দ্র বাবু সোনা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আতাউজ্জামান বাবু এবং বর্তমান সিটি মেয়র শরফুদ্দিন আহাম্মেদ ঝন্টু, শিক্ষা কর্মকর্তা (অব) ড. জয়নুল আবেদীন। তবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, বর্তমান মেয়র শরফুদ্দিন আহাম্মেদ ঝন্টু খাটি আওয়ামী লীগার নন। তিনি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি বিএনপি করেছেন। তারপর জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে এরশাদের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে লাইম লাইটে আসেন। তাছাড়া তিনি দলের মেয়র হিসেবে দলীয় কোন কাজে সাহায্য সহযোগিতা করেননি। এমনকি দলের কোন সাংগঠনিক কাজে তাকে পাওয়া যায়নি। চলতি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে মেয়র হিসেবে তিনি যথেষ্ট ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। কাজেই তাকে দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে চান না দলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের মহানগর কমিটির সভাপতি সাফিউর রহমান সফি জানান, শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু একলা চল নীতিতে চলেন। আওয়ামী লীগে যোগদান করে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করলেও তিনি দলীয় কোন কাজ করেননি। তিনি গত পাঁচ বছরে স্থানীয় বা কেন্দ্রীয় দলীয় কোন সভা-সমাবেশে উপস্থিত থাকেননি। দলের কোন নেতাকর্মীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল না। তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে নিশ্চিত ভরাডুবি হবে। সফি আরও বলেন, সাবেক জেপি নেতা আবদুর রউফ মানিক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চান। আওয়ামী লীগের টিকেট পাওয়ার জন্য জোর লবিং চালাচ্ছেন। তাকে মনোনয়ন দেয়া একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। রংপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এবং ভোটাররা কোন অনুপ্রবেশকারীকে মেনে নেবে না। ক্লিন ইমেজের একজন ত্যাগী নেতাকে দল মনোনয়ন দিবে এটাই তার প্রত্যাশা। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাফিউর রহমান সফি। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে প্রার্থী ছিলাম, এবারও মনোনয়ন পাব। উল্লেখ্য, আবদুর রউফ মানিক আগে ৮ বছর পৌর মেয়র ছিলেন এবং গত নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করে মাত্র ৩৭ হাজার ২০৮ ভোট পেয়ে হেরে যান। আর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও বর্তমান মেয়র শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু তাকিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের নৌকার দিকে । তবে নৌকা পাবেন কি না সে অপেক্ষা না করে মেয়র ঝন্টু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ঝন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশাবাদী দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’ তার দাবি, সরকারের সহযোগিতায় সিটির উল্লেখযোগ্য অনেক উন্নয়ন করেছেন তিনি। বাকি কাজ শেষ করতে তাকেই মেয়র বানাতে চায় নগরবাসী। ১৭-দফা উন্নয়ন কর্মসূচীর ইস্তেহার নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টাম-লীর সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জামানও নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। লিফলেট বিলাচ্ছেন, সভা-সমাবেশ করছেন। তিনি নৌকা মার্কা পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিলন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক রাশেক রহমানও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীনও ভোটের প্রচারে নেমেছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মেয়র প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতাউজ্জামান বাবু দিন-রাত একাকার করে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। জননেত্রী শেখ হাসিনা কারারুদ্ধ হলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে ক’জন তার মুক্তির দাবিতে মিছিল করেছিল তাদের মধ্যে আমি একজন। কাজে দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে” মহানগর বিএনপির সহসভাপতি পদে রয়েছেন কাওসার জামান বাবলা। তিনি গত সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৫ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। এবারও নির্বাচন করবেন বলে পোস্টার ব্যানার সাটিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রচার শুরু করেছি। দলের কাছে মনোনয়ন চাইব, আশাকরি দল আমাকে নিরাশ করবে না। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজুও মেয়র পদে নির্বাচন করবেন বলে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ৬৬ হাজার নতুন সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছি। এ ছাড়া মেয়র পদে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সদস্য কাজী মাজিরুল ইসলাম লিটন, বাসদের জেলা সমন্বয়ক আবদুল কুদ্দুসও প্রচার চালাচ্ছেন। যদিও গত নির্বাচনে তারা অংশ নিয়ে জামানত খুইয়েছিলেন। মেয়র পদে আরও প্রচারণা চালাচ্ছেন জাসদ (আম্বিয়া) রংপুর মহানগর শাখার যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ-নবী-মুন্না ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু। গত নির্বাচনে এএসএম গোলাম মোস্তফা ১৫ হাজার ৬৮১ ভোট পেয়েছিলেন। গত ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বর্তমানে এ সিটি কর্পোরেশনে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র ১৯৬টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৭টি। পাঁচ বছর আগে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। ভোটারদের প্রতিক্রিয়া প্রার্থীদের সকলেই জয়ী হলে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। ভোটাররাও কাকে ভোট দিবেন এ নিয়ে করছেন চুলচেড়া বিশ্লেষণ। অফিস-কাছারী, চায়ের দোকান এখন জমে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনায়। নগরীর নিউ শালবন এলাকার ভোটার ডা. শামিমা বেগম জানান, উন্নয়ন যাকে দিয়ে সম্ভব তাকেই মেয়র হিসেবে দেখতে চাই । কামালকাছনা এলাকার চাকরিজীবী আক্তার জানান, ভাল, সৎ ও যোগ্য লোককে মেয়র করলে এলাকার উন্নয়ন হবে। রিক্সাচালক হায়দার জানান, যার কাছে যেতে কোন বাঁধা নেই, মনের কষ্টের কথা বললে কাজ হবে এমন লোককে মেয়র চাই। কাচাবাজার ব্যবসায়ী হারুণ বলেন, আমরা উন্নয়নের পক্ষে তবে মেয়র আমরা তাকেই চাই যে বিপদে ডাকলে আমাদের পাশে থাকবে। শিক্ষার্থী আলীম জানান, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি যারা উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে পারবে এমন প্রার্থীকে মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। গৃহিণী সানজিদা বেগম জানান, দল বুঝি না যে ব্যক্তিগতভাবে ভাল ও মানুষের প্রিয় তাকেই মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। আইনজীবি পলাশ জানান, বর্তমানে কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। সুযোগ সুবিধা নেই। সামনে সড়ক, ড্রেন, বিদ্যুতসহ নাগরিক সেবা আমরা যার কাছে পাব তাকেই আমরা মেয়র হিসেবে বেছে নেব। তাছাড়া যেসব এলাকা নতুন সিটি কর্পোরেশনে এসেছে সেসব এলাকায় কোন উন্নয়ন হয়নি। এবার উন্নয়নের জোয়ার বইতে যারা নিরলসভাবে কাজ করবে তাকেই আমরা মেয়র চাই। সুমীল সমাজের প্রতিনিধি কবি খলিল বাবু জানান, সিটি কর্পোরেশনের যেমন উন্নয়ন প্রত্যাশা করেছিলাম তেমন হয়নি। এবার তাই ভেবে চিন্তে ভোট দিতে হবে। একবার ভোট নিয়ে গেলে আর প্রার্থীদের পাওয়া যায় না। যারা ভোট নিয়ে গেলেও ভোটারদের ভুলবে না তাকেই করবো এবার আমাদের মেয়র। বর্ধিত এলাকার ইকবাল আহমেদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ যখন ছিল তখন আমরা অনেক ভাল ছিলাম হাতের কাছে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে প্রশাসনিক কাজগুলো অল্প সময়ের মধ্যে হয়ে যেত সিটি কর্পোরেশন হওয়ায় প্রতিনিধিদের দেখা পাওয়া যায় সেই সাথে অফিসে গেলে নানান ধরনের হয়রানি হতে হয়। অনেক কাজ আছে সে গুলো টাকা দিয়ে করতে হয় তা না হওে হয়রানী হতে হয়। এ ছাড়াও কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা নেই। ইউনিয়ন পর্যায়ে থাকতে সরকারের অনেক সুযোগ সবিধা পাওয়া যেত। আমরা মনে করেছিলাম সিটি কর্পোরেশন গঠিত হলে এলাকাসহ মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত হবে এই পাঁচ বছরে কথাও উন্নয়নের ছোয়া দেখা যায়নি ফলে ইউনিয়ন পরিষদেই ভাল ছিল। সকল দলের প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী গণসংযোগকালে ভোটারদের উন্নয়নের কথা বললেও ভোটাররা চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে।
×