ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিরোধ মেটাতে সংলাপে বসবে চীন ও ভিয়েতনাম

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৪ নভেম্বর ২০১৭

বিরোধ মেটাতে সংলাপে বসবে চীন ও ভিয়েতনাম

বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধ মেটাতে চীন ও ভিয়েতনাম একমত হয়েছে বলে বেজিংয়ের এক শীর্ষ কূটনীতিক জানিয়েছেন। সমুদ্রসীমা এবং বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর ধরেই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বাদানুবাদ চলছিল। ওয়েবসাইট। দক্ষিণ চীন সাগরের কৌশলগত জলসীমা নিয়েও কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত দেশ দুটি কয়েক বছর ধরেই মুখোমুখি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ওই জলসীমা দিয়ে বছরে তিন ট্রিলিয়নেরও বেশি কার্গো পরিবহন হয়। চীন সাগরের বিরোধ নিয়ে ভিয়েতনামই এতদিন চীনের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিল। আগামী সপ্তাহে শি জিনপিংয়ের ভিয়েতনাম সফরের আগে সে বিবাদ কমিয়ে আনার ইঙ্গিত দিলেন চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেন জিয়াওডং। তিনি জানান, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জির এ সপ্তাহে হ্যানয় সফরে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘গভীর ও খোলামেলা’ আলোচনার মাধ্যমে চীন সাগরের বিরোধ মেটাতে সম্মত হয়েছেন। তারা গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। যৌথ ব্যবস্থাপনার নীতিতে সমুদ্রসীমা বিরোধ মিটিয়ে বৃহদার্থে চীন-ভিয়েতনাম সম্পর্কের উন্নতি ও দক্ষিণ চীন সাগরের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দুপক্ষই বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও আলোচনার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন চেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী ফাম বিন মিন এক বিবৃতিতে জানান, ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি কা জ্ঞান ও আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা বিরোধ মেটানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। চীন সাগরে বেজিংয়ের সামরিকায়ন নিয়ে বছরখানেক ধরেই উদ্বেগ জানিয়ে আসছিল ভিয়েতনাম। ওই সূত্রে গত আগস্টে ম্যানিলায় দুই দেশের নির্ধারিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকও বাতিল করে হ্যানয়। সেপ্টেম্বরে ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির এক শীর্ষ নেতার বেজিং সফরের সময় চীনা কমিউনিস্ট পাটির এক শীর্ষ নেতা দুই দেশের কমিউনিস্ট পাটির ‘লক্ষ্য অভিন্ন’ মন্তব্য করলে দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতির আভাস পাওয়া যায়। দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মাথাব্যথায় বিরক্ত’ চীন জানিয়েছে, সমুদ্রসীমা নিয়ে বিবাদ মেটাতে চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোই যথেষ্ট। ‘এ অঞ্চলের বাইরের দেশগুলো দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করবে এবং অঞ্চলটির শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এখনকার চেয়ে বেশি কিছু করবে’- বলেন চেন।
×