মুন্সীগঞ্জে ৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শ্রীনগর উপজেলায় স্বামী-স্ত্রী-সন্তানসহ একই পরিবারের তিন জন বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মৃত মোঃ মমিন আলীর ছোট ভাই দীন ইসলাম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। এদিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মাছ ব্যবসায়ী মোঃ মমিন (৫০), তার স্ত্রী লুবনা বেগম (৪৪) ও শিশু কন্যা সানজিদা (৯) একই সঙ্গে বিষপান করে। বিষের তীব্রতায় প্রথমে সানজিদা মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। পরে মমিন ও সর্বশেষ তার স্ত্রী লুবনা মারা যায়। প্রতিবেশীরা জানায়, তাদেরকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তারা মারা যায়। তাদের আরেক মেয়ে বাক প্রতিবন্ধী স্বর্ণা বেঁচে আছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, লুবনা বেগমের সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক রয়েছে, এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া ছিল। পরে গত ২৮ অক্টোবর বিচার করে বাড়ৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান নিজ কার্যালয়ে কাজী এনে তাদের তালাকের ব্যবস্থা করেন। এরপর লুবনা বেগম পাশের মদনখালী গ্রামের বাবার বাড়িতে চলে যান। কিন্তু ৩ দিনের মাথায় বুধবার আবার এই স্বামী-স্ত্রীকে এক সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে সংসার করার জন্য বলে। পরে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে লুবনা স্বামীর সঙ্গে একত্রে স্বামী বাড়ি আসেন। সন্ধ্যার পরে কন্যা সানজিদাকে নিয়ে বাড়ির সামান্য দূরে বিলে গিয়ে এক সঙ্গে তিনজন বিষপান করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এই বিষয়ে বাড়ৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম তালুকদার জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আসার পর মমিনের ভাই তাদের মারধর করে এবং গালিগালাজ করে। হয়ত এ কারণে তারা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তিনি জানান, এই ঘটনার পর মমিনের ভাই পলাতক রয়েছে। তালাক দেয়া আবার তিন দিনের মাথায় মিলিয়ে দেয়ার ঘটনা এড়িয়ে গিয়ে তালুকদার বলেন, মমিন নিজে গিয়ে তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে এসে ইউনিয়ন কার্যালয়ে আসে। পরবর্তীতে আমরা বলেছি- ‘ ঠিক আছে যা, মিল্লা থাকতে পারলে থাকগে।’ শ্রীনগর থানার ওসি এস এম আলমগীর হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনও কোন পক্ষ কোন অভিযোগ করেনি। বৃহস্পতিবার শ্রীনগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।