ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিরা-গুপ্তছড়া জাহাজ চলাচল বন্ধ ॥ বিপাকে যাত্রীরা

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩১ অক্টোবর ২০১৭

কুমিরা-গুপ্তছড়া জাহাজ চলাচল বন্ধ ॥ বিপাকে যাত্রীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকু-, চট্টগ্রাম, ৩০ অক্টোবর ॥ কুমিরা-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী জাহাজ কোন কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে সন্দ্বীপগামী শত শত যাত্রী। গত ২০ দিনের ব্যবধানে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ গুপ্তছড়া কুমিরা ফেরিঘাট থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। এই নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে সীতাকু- উপজেলার কুমিরা হয়ে সন্দ্বীপ উপজেলায় প্রতিদিন কুমিরা ঘাট থেকে গুপ্তছড়া ঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই হাজারেরও বেশি যাত্রী ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আসাযাওয়া করে। ২০১২ সালে সরকার বিআইডব্লিউটিএ’র মাধ্যমে বারো কোটি টাকা ব্যয়ে কুমিরায় একটি নৌ টার্মিনাল স্থাপন করেন। দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে কুমিরা ও গুপ্তছড়া ঘাট দুইপাড় থেকে শত শত যাত্রী নিয়ে পারাপার করে কাজল ও বেকু নামে দুটি জাহাজ। যাহা বিআইডব্লিউটিএ থেকে একটি এবং জেলা প্রশাসক মাধ্যমে ইজারা নেয়া হয় একটি।গত ২০ দিনের আগে থেকে জেলা প্রশাসক ইজারাদার বেকু নামে একটি জাহাজ দিয়ে প্রতিদিন দুপুরে যাত্রী আনানেয়া করত। আর জাহাজে যাত্রীদের মাথাপিছু ভাড়া নেয়া হয় ১৬০ টাকা। অপর দিকে বিআইডব্লিউটিএ থেকে নেয়া জাহাজটি তত্ত্বাবধায়ন করে ফরহাদ নামে এক ব্যক্তি । জাহাজটির নাম কাজল। এদিকে যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় স্পিডবোট। যার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসক। মাথাপিছু ভাড়া ৩শ’ টাকা। পারাপারের সময় মাত্র ২৫ মিনিট। এদিকে স্পিডবোটের অতিরিক্ত ভাড়ায় লাভবান হওয়ায় ইজারা নেয়া জাহাজ দুটি বন্ধ করে স্পিডবোট দিয়ে যাত্রী আনানেয়া করছে ইজারাদাররা। তারপরই কাজল নামের জাহাজটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এই নিয়ে সাধারণ যাত্রীরা কুমিরা থেকে সন্দ্বীপ ঘাটে যাওয়া আসায় বিপাকে পড়েছে। জসিম উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধ যাত্রী জানান, ‘আমি ছোটকাল থেকে এক মাসের মাথায় চট্টগ্রাম থেকে কুমিরা সন্দ্বীপ ঘাট দিয়ে আগে কম টাকায় যাতায়াত করলেও বর্তমানে ১৬০ টাকা ভাড়া দিয়ে জাহাজে আসাযাওয়া করি। কিন্তু হঠাৎ করে কোন কারণ ছাড়াই জাহাজ না থাকার কারণে ৩শ’ টাকা দিয়ে স্পিডবোটের মাধ্যমে সন্দ্বীপ যাওয়া আসা করছি। যা সব সময় আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। জাহাজে করে আমি ৩০ কেজি বা তার অধিক মালামাল বহন করে নিয়ে যেতে পারি, যার কোন পণ্য ভাড়া লাগত না। কিন্তু ইঞ্জিনচালিত স্পিডবোটে ৫ কেজির উর্ধে হলে আমাদের পণ্যর ভাড়া পরিশোধ করতে হয়।’
×