ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিবির এজিএমের বৈধতা শুনানি শেষ, আজ রায়

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিসিবির এজিএমের বৈধতা শুনানি শেষ, আজ রায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদকে কার্যক্রম চালানো ও আগামী ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক ও বিশেষ সাধারণ সভা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আদেশের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে সোমবার আদেশের এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পক্ষে শুনানি করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। গত রবিবার হাইকোর্টে রিটটি করেন বিসিবির সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। এ্যাটর্নি জেনারেল ২০১৩ সালে নির্বাচিত বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চার বছরের ‘সাফল্যের’ কথা তুলে ধরে বলেন, ২০০৮ সালে যে প্রক্রিয়ায় বোর্ডের কাউন্সিলররা নির্বাচিত হয়েছিলেন, বোর্ড গঠন করেছিলেন। ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এ কমিটি গঠন করা হয়। ফলে এ কমিটি আইনতই তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০১২ সালে এনএসসি বিসিবির গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিলে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলেন মোবাশ্বের হোসেন ও বিসিবির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইউসুফ জামিল বাবু। আপীল বিভাগ গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতে রেখে এ বছরই রায় দেয়। ওই রায়টি তুলে ধরে মাহবুবে আলম বলেন, বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধনের রায়ের সময় আপীল বিভাগ যদি বর্তমান কমিটিকে অকার্যকর বলে গণ্য করত, তাহলে গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতে দিত না। এ আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একে ‘নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করার প্রয়াস’ বলে মন্তব্য করেন মাহবুবে আলম। বর্তমান কমিটি আগামী ২ অক্টোবর এজিএম ও ইজিএম ডেকেছে; তা বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে করা এই রিট আবেদনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়। আপীল বিভাগের রায়কে ‘নিজেদের পক্ষে’ দাবি করে প্রথমে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম এবং এজিএম ও ইজিএমের বৈধতা জানতে চেয়ে আইনী নোটিস পাঠিয়েছিলেন মোবাশ্বের। নির্ধারিত সময়ে নোটিসের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন বিসিবির সাবেক এ পরিচালক। রিট আবেদনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক জানান, ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়। এ পর্ষদকে কার্যক্রম পরিচালনা ও এজিএম-ইজিএম করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। এছাড়া ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর গঠিত বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে কার্যক্রম চালানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। এ রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ পর্ষদকে কার্যক্রম পরিচালনা ও এজিএম-ইজিএম করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ চেয়েও আবেদন করা হয়। রিটে বিবাদী করা হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনএসসি ও বিসিবির সভাপতিসহ সাতজনকে। এজিএম-ইজিএমসহ বোর্ডের সব কার্যক্রম বন্ধে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিসিবিকে আইনী নোটিস পাঠান স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। কিন্তু আইনী নোটিস অনুসারে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় রিট করেন তিনি।
×