রাম রহিমের আস্তানায় অবৈধ বিস্ফোরক কারখানা

কারাগারে থাকা ‘স্বঘোষিত ধর্মগুরু’ গুরমিত রাম রহিমের মূল আশ্রম ডেরা সাচ্চা সওদাতে দ্বিতীয় দিনের অভিযানে অবৈধ বিস্ফোরক কারখানার সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী ও জেলা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার হরিয়ানার সিরসায় ডেরা ক্যাম্পাস থেকে ৮০ কার্টনেরও বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির। রাম রহিমের শিষ্যরা বলছেন, এসব বিস্ফোরক দিয়ে পটকা বানানো হতো। পুলিশ ওই বিস্ফোরক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। বিস্ফোরকের ধরণ বুঝতে কাজ করছে ফরেনসিক দল। শুক্রবার সকালে কড়া নিরাপত্তা ও কার্ফু জারি করে ডেরা আশ্রমে অভিযান শুরু হয়। অভিযানের প্রথম দুই ঘণ্টাতেই প্লাস্টিকের মুদ্রা, নিষিদ্ধ মুদ্রাসহ বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি হার্ড ডিস্ক, কম্পিউটার ও একটি বিলাসবহুল টয়োটা লেক্সাস এসউভিও জব্দ করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ডেরা ক্যাম্পাস থেকে দুই শিশুসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে। আধাসামরিক বাহিনীর কয়েকশ’ সদস্য নিয়ে কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের চালানো এই অভিযানে ৫০জন চিত্রগ্রাহক ও ডজনের ওপর তালা-চাবির কারিগর ছিলেন। ভেতরে গোপন সুড়ঙ্গ থাকতে পারে ভেবে নেয়া হয় মাটি খোঁড়ার যন্ত্র। বোম স্কোয়াড, সোয়াটের ৪০ কমান্ডো, ডগ স্কোয়াডের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী, এ্যাম্বুলেস ও ফায়ার সার্ভিসকেও সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়। সাবেক বিচারপতি একেএস পাওয়ারের নেতৃত্বে চলা এ অভিযানে ৭০ জনের সাক্ষ্যও নেয়া হয়েছে। ‘ডেরা ক্যাম্পাস এত বড় যে পুরো অভিযান শেষ করতে সময় লাগবে,’ বলেন হরিয়ানার পুলিশপ্রধান বিএস সান্ধু। ডেরা আশ্রমের কাছে বেশ কয়েকটি চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। সহিংসতার আশঙ্কায় সিরসায় মজুদ রাখা হয়েছে আধাসামরিক বাহিনীর আরও কয়েকশ’ সদস্যকে। রকস্টারদের মধ্যে জীবনযাপন ও জাঁকজমক চলাফেরায় অভ্যস্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিমকে আশ্রমের ভেতরে দুই নারী শিষ্যকে ধর্ষণের অপরাধে গত সপ্তাহে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২৫ আগস্ট ধর্ষণের দায়ে ডেরাপ্রধানকে দোষী সাব্যস্ত করার পর সিরসা ও পাঁচকুলায় হওয়া সহিংসতায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়। রাম রহিমের সমর্থকরাই ওই দাঙ্গা সৃষ্টি করেছিল বলে দাবি পুলিশের।