ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘রাখাইনে ১শ’ কিমি জুড়ে আগুনে ছারখার রোহিঙ্গা বসতি’

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ৩০ আগস্ট ২০১৭

‘রাখাইনে ১শ’ কিমি জুড়ে আগুনে ছারখার রোহিঙ্গা বসতি’

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, কৃত্রিম উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে তারা দেখেছে যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের পর অন্তত ১০০ কিলোমিটার এলাকার বসতবাড়ি থেকে শুরু করে সবকিছু আগুনে ভস্মীভূত করে দেয়া হয়েছে। রাখাইনের অধিবাসী ও মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেন, নিরপরাধ নিরস্ত্র নারী, শিশু ও পুরুষদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করছে। বাড়িঘরও পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। খবর আল জাজিরা অনলাইনের। তবে মিয়ানমার সরকার বলেছে, সংঘাতময় অঞ্চলটির পুলিশ ফাঁড়িতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ) হামলার পর শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। তারা বলেন, সরকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় উগ্রপন্থী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছে। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের দাবি, সেনাবাহিনীর অগ্নিসংযোগে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেনারা সেখানে ব্যাপক বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- চালাচ্ছে। তবে মিয়ানমার সরকারের কোন কর্মকর্তা এ বিষরে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মঙ্গলবার জানিয়েছে, মিয়ানমার সরকারের উচিত অগ্নিকা-ের উৎস ও মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে জানতে স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের দেশটিতে ঢোকার অনুমতি দেয়া। সংস্থাটি জানায়, ১০০ কিলোমিটারজুড়ে সবকিছু ভস্মীভূত করে দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের হামলার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ধরপাকড়ের সময়ে যে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল, বর্তমানের ধ্বংসযজ্ঞ তার চেয়ে বহুগুণ বেশি। তখন প্রায় ১৫ হাজার বসতবাড়ি ভস্মীভূত করে দেয়া হয়েছিল। এইচআরডব্লিউর এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া এসব তথ্য অবশ্যই উদ্বেগের এবং এসব ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে দাতাদের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। রাখাইন রাজ্যের ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা প্রকাশে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর উচিত মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। বিদ্রোহীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে মিয়ানমার সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও তদন্ত থেকে রেহাই পেতে পারে না। এদিকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে তার দেশ প্রস্তুত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন ধরনের উদ্বাস্তুদের গ্রহণে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা অতীতের মতো এবারও তাদের আশ্রয় দেব এবং তারা যখন যেতে চাইবে তখন তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
×