ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরগঞ্জে গ্রেফতারের নামে হয়রানি বন্ধের দাবি

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ২৭ জুলাই ২০১৭

সুন্দরগঞ্জে গ্রেফতারের নামে হয়রানি বন্ধের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৬ জুলাই ॥ পুলিশী হেফাজতে কলেজ শিক্ষার্থী রিপন চন্দ্র দাস হত্যা মামলার জের ধরে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ হত্যা মামলার সাক্ষী ও প্রতিবাদকারীদের হয়রানিমূলক গণগ্রেফতার শুরু করেছে। ফলে পুলিশ আতঙ্কে সুন্দরগঞ্জের হাতিয়া গ্রামের লোকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বুধবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এর প্রতিকার দাবি করেছে রিপনের অসহায় পিতা বাবলু চন্দ্র দাস ও এলাকাবাসী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত রিপন চন্দ্রের ছোট ভাই প-িত চন্দ্র দাস। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হাতিয়া গ্রামের বাবলু চন্দ্র দাসের ছেলে রিপনের সঙ্গে প্রতিবেশী সুরেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে চ¤পার প্রেমের স¤পর্ক ছিল। দু’জনে ঘর বাঁধার স্বপ্নে গত ২৯ মে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বগুড়ার কাহালুতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায়। এ ঘটনায় চ¤পার বাবা সুরেশ চন্দ্র বাদী হয়ে অপহরণের অভিযোগে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে। সুন্দরগঞ্জ থানা গত ১ জুন বগুড়ার কাহালু উপজেলায় আত্মীয়ের বাসা থেকে চ¤পা ও রিপনকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জে নিয়ে আসার জন্য মাইক্রোতে তোলে। রিপনের পিতা বাবলু চন্দ্র দাসের অনুরোধকে উপেক্ষা করে পুলিশ একই মাইক্রোতে মেয়ের পিতা ও তাদের অন্যতম সহযোগী ইউপি সদস্য মনতাজ উদ্দিনকেও তুলে সুন্দরগঞ্জ অভিমুখে রওনা দেয়। পথিমধ্যে পলাশবাড়ির কাছে পুলিশের সহযোগিতায় রিপন চন্দ্র দাসকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
×