ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পার্বতীপুরে হামলার পর পরিবার বাড়িছাড়া

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২২ জুলাই ২০১৭

পার্বতীপুরে হামলার পর পরিবার বাড়িছাড়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ২১ জুলাই ॥ পার্বতীপুরে বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের বাঘাচোরা শ্রীরামপুর গ্রামে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলার বিষয়টি ৫ দিনেও নিষ্পত্তি হয়নি। মামলাও রেকর্ড হয়নি। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে এসে দেখা গেল নন্দলাল মহন্ত, বিমল মহন্ত ও প্রসন্ন মহন্তের পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই। যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তাদের আত্মীয়রা এসে বাড়ি পাহারা দিচ্ছে। গোয়াল ঘরে গরু বাঁধা রয়েছে। নিকট প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাস করলে তারা জানায়, ১৭ জুলাই গভীর রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার পরদিন থেকে ভয়ে আতঙ্কে তারা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। কোথায় গেছে তা তারা জানে না। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণানামতে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী ওবায়দুল ইসলাম ও ওহেদুল মাস্টারের নেতৃত্বে হামলায় নন্দলাল মহন্ত, তার ছেলে অনুকূল মহন্ত ও দুই পুত্রবধূ তাপসী রানী, লিপি মহন্ত আহত হয়। পরের দিন তাদের উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রায়হান জানান, তাপসী ও লিপিকে হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নন্দলাল ও অনুকূলকে দুদিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হয়। প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিট অফিসের তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন বান্দরবান সরকারী মহিলা কলেজের ৩য় তলার ড্রপ ওয়াল নির্মাণ কাজে ‘বান্দরবানে রডের বদলে বাঁশ ॥ রাতারাতি পরিবর্তন’ শুক্রবার দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদটি দৃষ্টি গোচর হয়েছে নির্বহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজের। এই ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিট অফিসের প্রকৌশল শাখা কোনভাবে জড়িত নয়। নির্মাণ শ্রমিকদের প্রচলিত ধারণাজনিত সাধারণ ভুলের কারণে এমনটি ঘটেছে।বুধবার সন্ধ্যায় কলেজের অধ্যক্ষও সহকারী প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখতে পায় কোন কঞ্চি নেই, ভুল করার বিষয়টি বুঝতে পেরে শ্রমিকরা নিজেরা কঞ্চিগুলো খুলে ফেলে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকার জন্য নির্মাণ কাজটি বন্ধ রাখতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশা করি এই ব্যাখ্যার পর ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটবে।
×