ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ই-কমার্সের মাধ্যমে চীনে পণ্য রফতানির পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ১৮ জুলাই ২০১৭

ই-কমার্সের মাধ্যমে চীনে পণ্য রফতানির পরামর্শ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ই-কমার্সের মাধ্যমে চীনে রফতানি বৃদ্ধি বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। এতে বক্তারা ই-কমার্সের মাধ্যমে চীনে পণ্য রফতানির পরামর্শ দিয়েছে। সেই সঙ্গে এলডিসি দেশগুলোর জন্য চীনের দেয়ার ডিউটি ফ্রি-ট্যারিফ ফ্রি এগ্রিমেন্টে বাংলাদেশকে স্বাক্ষর করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার রাজধানীর ঢাকা চেম্বার অডিটরিয়ামে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার (আইটিসি) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের চীনের বাজারে পণ্য রফতানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে ই-কমার্সের মাধ্যমে বিশেষ করে জুয়েলারি, কাঠ ও মাটির তৈরি তৈজসপত্র, চিত্রকর্ম, ফ্যাশন বিষয়ক পণ্য সামগ্রী প্রভৃতি বাজারজাতকরণের সুযোগ রয়েছে এবং বাংলাদেশের উদ্যোমী এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের এ সুযোগ গ্রহণ করে পণ্য রফতানিতে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ১০০ শতাংশ। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতির ধারাকে বেগবান করার জন্য চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর আরও গুরুত্বারোপ করতে হবে। লি গুয়াংজুন বলেন, ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে চীন পৃথিবীর বৃহত্তম বাজার। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ই-কমার্সের মাধ্যমে চীনের বাজারে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য রফতানি বৃদ্ধি করতে পারে। তিনি বলেন, চীন সরকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলো হতে চীনের বাজারে পণ্য রফতানির বিষয়টিকে উৎসাহিত করে থাকে এবং এ জন্য চীনে বাংলাদেশী পণ্য রফতানি বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রধানত টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক, সি-ফুড, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে এবং বাংলাদেশকে রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আপটা) এর আওতায় চীনে পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে থাকে। তবে চীন সরকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলোতে হতে পণ্য রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি ডিউটি ফ্রি-ট্যারিফ ফ্রি এগ্রিমেন্ট নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং এলডিসিভুক্ত ৩৫টি দেশ তাদের পণ্য চীনে রফতানির ক্ষেত্রে এ চুক্তির আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে, যদিও বাংলাদেশ এখনও এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
×